
বগুড়া সংবাদ : বগুড়ার সোনাতলায় সাতজনের একদল ডাকাতকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। উদ্ধার হয়েছে পুলিশ লেখা একটি গাড়ী,খোয়া যাওয়া আড়াই লাখ টাকার মধ্যে নব্বই হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন। বৃহস্পতিবার ৩ জুলাই গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে থানায় এজাহার দায়ের হয়েছে। এজাহার সূত্রে জানা যায়, সোনাতলা উপজেলার কাতলাহার পিছনপাড়া গ্রামের সফিকুল ইসলাম ওরফে ফটো (৬৫) প্রতি রাতের ন্যায় ঘটনার রাতে খাবার খেয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে ৭/৮ জন লোক ওই ঘরের দরজায় ধাক্কাতে থাকে। ধাক্কার শব্দে সফিকুল ইসলামের ঘুম ভেঙে যায়। তখন সফিকুল ইসলাম তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা নিজেদেরকে ডিবি পুলিশের পরিচয় দেয়। গৃহকর্তা ভয়ে দরজা খুলে দিলে ভূয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়দানকারীরা বলে যে আপনার ঘরে অবৈধ জিনিস আছে। অথচ তাদের শরীরে কোনো পুলিশের পোশাক ছিল না। তারা গৃহকর্তাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে একটি বাটন মোবাইল ফোন, ২৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি অ্যান্ড্রোয়েড মোবাইল ফোন ও ঘরে রক্ষিত দুইলাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে বাড়ির পাশে রাস্তায় থাকা পুলিশ লেখা একটি গাড়িতে চড়ে চম্পট দেয়ার সময় সফিকুল ইসলাম তার বাটন ফোনটি একজনের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে ট্রিপোল নাইন-এ সোনাতলা থানায় ফোন করেন। রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে সফিকুল ইসলাম জানতে পারে যে,বগুড়া সদর থানার সাবগ্রাম মোড়ে উক্ত গাড়িসহ ওই সাত ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করে বগুড়া সদর থানায় নিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলো সোনাতলা উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের চারালকান্দি গ্রামের সাইফুল ইসলাম সাহাবুলের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল (বগুড়ায় কর্মরত) মোঃ আল হাদী বাবুল (৩০),একই গ্রামের মৃত এনামুল হক মন্ডলের ছেলে সাদিক আকবর দুঃখ (৩০),চারালকান্দি মধ্যপাড়া গ্রামের ওয়াহেদ আলীর ছেলে সাকিল মিয়া (২৬),গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ বেতারা গ্রামের মৃত হারুন রশিদের ছেলে তারেক রহমান (২৫),গাবতলি উপজেলার করিমপাড়া গ্রামের আনছার আলীর ছেলে শাহরিয়ার রহমান স্বাধীন (২৯), দুপচাঁচিয়া উপজেলার পুকুরগাছা গ্রামের রিপনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল-কাফি (১৮) ও একই উপজেলার ভেবরা গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে আবিদ হাসান (২৯)। উল্লেখিত সাতজন-সহ আরো ৩/৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে সফিকুল ইসলাম (ফটো) বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার ৩ জুলাই সোনাতলা থানায় একটি এজাহার করেন। এজাহার বা মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই শামীম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।