বগুড়া সংবাদ : বগুড়ায় ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে নারীর সাথে আপত্তিকর ভিডিও ধারণের পর টাকা আদায়ের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সোমবার রাত ১১ টার দিকে জেলার শেরপুর থানার পারভবানীপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তির নাম শাওন পারভেজ (২৮)। তিনি শাজাহানপুর উপজেলার জয়ন্তীবাড়ির ফিরোজ আহমেদের ছেলে। এছাড়াও তিনি মামলার ২ নং আসামি ছিলেন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
মঙ্গলবার র্যাব-১২ বগুড়ার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এর আগে আশিক নামে এক ধান-চাল ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার শাওনসহ ১২/১৩ জনের বিরুদ্ধে শাজাহানপুর থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার শেরপুর উপজেলার আশিক মিয়া পেশায় একজন ধান-চাল ব্যবসায়ী। তিনি জেলার বিভিন্ন এলাকায় ধান ক্রয় বিক্রয় করেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রায় এক সপ্তাহ আগে ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে এক মহিলা তাকে ফোন করে ধান বিক্রি করবে বলে জানায়। তখন ব্যবসায়ী আশিক ধান কেনার জন্য বি-ব্লক বাজারে আসেন।
এদিকে পূর্ব পরিকল্পনা অযুযায়ী ওই ব্যবসায়ীকে ধান দেখানোর কথা বলে শাজাহানপুরের জয়ন্তীবাড়ি গ্রামে গ্রেপ্তার আসামি শাওনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার সাথে জড়িত ১-১২ জন এসময় তার পকেটে থাকা নগদ ৫ হাজার ৫০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর তাকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে আপত্তিকর অবস্থায় নারীর সাথে খাটের উপর বসে থাকতে বাধ্য করা হয়। সেই সাথে অভিযুক্ত আসামিরা ওই নারির সাথে ব্যবসায়ী আশিকের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে এসব ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।
নিজের সম্মান ও জীবন রক্ষার জন্য তখন ধান ব্যবসায়ী আশিক মিয়া ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ব্যবস্থা করে অভিযুক্তদের হাতে তুলে দেন। এরপর ৪ টি ফাঁকা স্ট্যাম্প পেপারে জোর করে সাক্ষর নিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর ১২ ফেব্রুয়ারি ওই ধান ব্যবসায়ী বগুড়ার শাজাহানপুর থানায় ১২-১৩ জনকে আসামি করে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন।
র্যাবের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযোগ পাওয়ার পর এই চক্রকে ধরতে র্যাবের চৌকস টিম অভিযানে নামে। পরে মামলার দিনই রাত ১১ টার দিকে অভুক্ত শাওনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামির বরাত দিয়ে র্যাব ১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার মীর মনির হোসেন বলেন, টাকার ভাগ পাওয়ার লোভে আসামি শাওন তার বাড়িতে ওই নারীর সাথে যোগসাজশে তাদের সহযোগীদের নিয়ে এই কাজ করে।