
বগুড়া সংবাদ : বগুড়া সদর উপজেলায় মেয়ের বিয়ে না দেয়ায় বাবা কে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতার বিরুদ্ধে। নিহত যুবকের নাম শাকিল (৩৫), পিতা মৃত্যু আবু হানিফ, সাং-শিববাটী, থানা-বগুড়া সদর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৪ জুন শনিবার সকাল আনুমানিক ১১:৩০ টার দিকে শাকিলের নিজ বাড়িতে জিতু (৪২) নামক এক ব্যক্তির সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত জিতু বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে। তার পিতার নাম জানা না গেলেও, তিনি সদর থানার ফুলবাড়ী নয়া নদীর ঘাট এলাকার বাসিন্দা।
জানা গেছে, জিতু শাকিলের মেয়েকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। এ নিয়ে পারিবারিক বিরোধ ও উত্তেজনা চলছিল। দুপুরের পর বিকাল আনুমানিক ৫:২০ মিনিটে জিতু ৪-৫টি মোটরসাইকেলযোগে সহযোগীদের নিয়ে শাকিলের বাড়িতে উপস্থিত হন। পরে জোরপূর্বক শাকিলকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ফুলবাড়ী নয়া নদীর ঘাট এলাকায়।
সেখানে সাকিল কে নিয়ে গিয়ে অভিযুক্ত জিতুসহ আরও কয়েকজন মিলে শাকিলকে বেধড়ক মারধর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বর্তমানে নিহত শাকিলের মরদেহ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোস্তফা মুঞ্জুর জানান বগুড়া সদর থানা পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মুল আসামি জিতু সহ ২ জন কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বগুড়ায় কিশোরী মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় এক রিকশাচালককে পিটিয়ে হ/ত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক জিতু ইসলামসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে শহরের ফুলবাড়ী এলাকার করতোয়া নদীর ঘাটে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাকিল আহমেদ (৩৪) শহরের শিববাটি শাহি মসজিদ এলাকার সাজুর ছেলে। তিনি ঐ এলাকায় জনৈক রানার বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির জানান, দীর্ঘদিন ধরে জিতু ইসলাম শাকিল আহমেদের ১৩ বছর বয়সী মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এতে রাজি না হওয়ায় শাকিলের সঙ্গে তার বিরোধের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে পূর্বে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার বেলা ১২টার দিকে কয়েকজন মোটরসাইকেলে এসে শাকিলকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে করতোয়া নদীর ঘাট এলাকায় তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে শাকিল গুরুতর আহত অবস্থায় সেখান থেকে পালিয়ে তার বোনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। তবে অভিযুক্তরা সেখানেও পৌঁছে তাকে আবারও নির্যাতন করে।
পরে স্থানীয় লোকজন শাকিলকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃ/ত্যু হয়।
ওসি হাসান বাসির আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের পর অভিযুক্তরা শাকিলকে ছিনতাইকারী বলে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তবে বিষয়টি বুঝতে পেরে পুলিশ তাকে হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত জিতু ইসলাম, মতি এবং আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিতু ইসলামের বিরুদ্ধে এলাকায় স/ন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের একাধিক অভিযোগ রয়েছে এবং তার নামে চারটি মামলা রয়েছে বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা।