
বগুড়া সংবাদ: সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হলেও বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় এখনো ধান কেনা শুরু করতে পারছে না খাদ্য অধিদপ্তর। মূলত কৃষকের তালিকা প্রস্তুত না থাকায় এই জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সরকারি গুদাম খালি থাকলেও কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা সম্ভব হচ্ছে না।
উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এই বছর শেরপুর উপজেলায় কৃষকদের নিকট থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে ১ হাজার ৩৪৩ মেট্রিক টন ধান কেনা হবে। যা ইতমেধ্যেই শুরু হয়েছে কিন্ত আমরা এখনো কোন ধান কিনতে পারিনি। কারন হিসেবে তারা জানান, পুর্বের তালিকা অনুয়ায়ী এবার ধান কেনা হবেনা, কৃষকের হালনাগাদ তালিকা কৃষি অফিস সরবরাহ করলে সেই তালিকা অনুয়ায়ী আমরা কৃষকদের নিকট থেকে ধান কিনবো। গতমাসের ২৫ তারিখের মধ্যে তালিকা পাবার জন্য আমরা কৃষি অফিসকে পত্রের মাধ্যমে অবহিত করেছিলাম কিন্ত কৃষি অফিস আমাদেরকে তালিকা সরবরাহ করেনি।
স্থানীয় কৃষক আব্দুল মজিদ, রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ধান বিক্রি করতে ইচ্ছুক, গুদামে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি এখনো তালিকা না আসায় তারা ধান কিনছেন না। তারা আরো জানান, আর কিছুদিন পর কেউ গুদামে ধান দিতে আসবেনা। কারন তখন বাজারে ধানের দাম বেশি হলে কৃষক সরকারি দামের চেয়ে বেশি দামে বাজারে বিক্রি করবেন। এতে সরকারি সংগ্রহ লক্ষ্যপূরণ হবে না।
উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক আবু ছাইদ সরকার বলেন, অনেক কৃষক গুদামে ধান দেয়ার জন্য আমাকে ফোন দিচ্ছেন কিন্ত তালিকা না হবার কারনে ধান দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা। আমরা দ্রæত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল হান্নান খান বলেন, আমরা সঠিক সময়ে কৃষকের হালনাগাদ তালিকা পাবার জন্য উপজেলা কৃষি অফিসকে পত্রের মাধ্যমে জানিয়েছিলাম কিন্ত এখনা তারা আমাদেরকে তালিকা সরবরাহ করেননি। তাই এখনো কেনা শুরু করতে পারিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার বলেন, বেশ কিছুদিন আগে আমরা পত্র পেয়েছি এবং কৃষকের হালনাগাদ তারিকা তৈরী করতে নির্দেশনা দিয়েছি। দু একদিনের মধ্যেই সরকারী গুদামে তালিকা প্রেরণ করা হবে।