
বগুড়া সংবাদ :বগুড়ার সোনাতলা উপজেলাধীন রাধাঁকান্তপুর (আমতলী) কাঁচা রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশা হয়ে পড়েছে। এতে জনসাধারণকে চলাচলে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। দুর্ভোগ লাঘবে রাস্তাটি অবিলম্বে কার্পেটিং করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোরদাবী এলাকাবাসীর। পাকুল্লা ইউনিয়নের ১০ নম্বর ওয়াপদা বাঁধ চারমাথা থেকে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে পূর্বদিকে রাধাকান্তপুর গ্রামে প্রবেশ করেছে কাঁচা রাস্তা। এ রাস্তা দৈর্ঘ্যে ১২ মিটার পর্যন্ত সম্প্রতি ইট দিয়ে হেরিং করা হয়। ওয়াপদা বাঁধের পূর্ব পাশে রয়েছে যমুনা নদী। বন্যা এলে বাঁধের পূর্ব অংশ পানিতে হয়ে যায় একাকার। ডুবে যায় প্রায় সব রাস্তাঘাট। পানির ¯্রােতে অন্যান্য রাস্তার মতো এ রাস্তারও হয় ক্ষয়ক্ষতি। এতে রাস্তাটি চলাচলে হয়ে পড়ে অনুপযোগি। রাধাকান্তপুর,পাকুল্লা,মির্জাপুর ও পশ্চিম তেকানী-সহ অন্যান্য গ্রামের মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে থাকে। চলাচলে সুবিধার জন্য উপজেলা এলজিইডি বিভাগ সম্প্রতি রাস্তাটি ইট দিয়ে হেরিং করে দেয়। তা কয়েকবারের বন্যার পানির ¯্রােতে হেরিং রাস্তাটির ক্ষয়ক্ষতি হয়। পাশাপাশি এ রাস্তা দিয়ে খরা মৌসুমে বালু ভর্তি ট্রাক ও কাকড়া গাড়ি নিয়মিত চলাচল করে। বৃষ্টির পানিতেও রাস্তার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এছাড়া এলাকার অসাধু শ্রেণির মানুষরা সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাস্তার ইট চুরি করে নিয়ে যায়। এসব কারণে রাস্তাটির মাঝখানে খানাখন্দ সৃষ্টি ও দু’পাশে ধ্বসে গেছে। এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে রাস্তাটির বেশ কিছু স্থানে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তা দিয়ে সাইকেল,মোটরসাইকেল,ভ্যান,অটোভ্যান ও ভটভটি যোগে এবং পায়ে হেঁটে জনগণকে দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে চলাচল করতে হয়। বেহাল দশা এই রাস্তা ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আতিকুর রহমান তালুকদার ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ নূরুল ইসলাম বলেছেন ১০নং ওয়াপদা বাঁধ চারমাথা থেকে রাধাকান্তপুর গ্রাম পর্যন্ত একহাজার দুইশ’ মিটার কাঁচা রাস্তা কার্পেটিং করার জন্য এলজিইডি প্রধান কার্যালয় থেকে প্রস্তাবনা (চাহিদা) চেয়েছেন। আমরা ইতিমধ্যে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। কার্পেটিং কাজের অর্ডার এলেই আমরা দ্রæত কাজ শুরু করবো।