
বগুড়া সংবাদ : বগুড়ার শেরপুরে ভুল চিকিৎসায় রতœা বেগম (৪১) নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকালে পৌরশহরের বর্মণ হেলথ কেয়ারে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মারা যাওয়া রোগীর স্বজনদের অভিযোগ চিকিৎসার জন্য নেয়ার পর ভূল চিকিৎসায় কারনে তার মৃত্যু হয়। নিহত রতœা বেগম উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের হাপুনিয়া কলোনী গ্রামের শাহাবুল ইসলামের স্ত্রী ও ইব্রাহীম হোসেনের মেয়ে।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, গত বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে পেটে ব্যাথার কারনে রতœা বেগমকে পৌর শহরের বর্মণ হেলথ কেয়ারে আনা হয়। সেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষার পরামর্শ দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দিয়ে পরের দিন আসতে বলেন। এরপর গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় আবার চিকিৎসার জন্য একই ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাক্তার তন্ময় বর্মণ নামে একজন চিকিৎসক আগের দিনের ওষুধের সাথে আরো কিছু ওষুধ যোগ করেন এবং রোগীর পরিবার কে নিয়ে আসতে বলেন। এ সময় বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষাও করা হয়। রোগীর ছেলে বাহির থেকে ওষুধ ও ইনজেকশন নিয়ে আসার পর রোগীকে ইনজেকশন দেয়ার সাথে সাথে মুখ দিয়ে লালা বের হয় ও খিচুনি দিয়ে নিস্তেজ হয়ে যায়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে স্বাভাবিক করার চেষ্টার এক পর্যায়ে ব্যর্থ হয়ে নিজেরা এম্বুলেন্স ডেকে রোগীকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। এ সময় রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
রোগীর স্বামী শাহাবুল ইসলাম বলেন, আমার স্ত্রীকে তারা মেরে ফেলেছে। আমি ওদের বিচার চাই। ঘটনার তদন্ত করে এর সুষ্ট বিচারের দাবী জানান।
নিহতের ছেলে রফিকুল ইসলাম বলেন, আমারে মাকে বর্মন হেলথ কেয়ারে নিয়ে গেলে সেখানে আমাকে কিছু ইনজেকশন ও ওষুধ আনতে বলেন, পরে তারা ইনজেকশন দেয়ার ১ মিনিটের মধ্যে খিচুনি ও মুখ দিয়ে লালা পরে নিস্তেজ হয়ে পড়েন। তাদের ভূল চিকিৎসার জন্য আমার মায়ের মৃত্যু হয়েছে।
শেরপুর থানার অভিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। তবে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।