

ক্যাডার নুরুজ্জামান কারাগারে
বগুড়া সংবাদ :বগুড়ার শাজাহানপুরের আলোচিত নুরু বাহিনীর প্রধান ১৫ মামলার আসামী মো. নুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার ২৩ জানুয়ারি বিকেলে ঢাকা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, পুলিশের ওপর হামলা, চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ১৫টি মামলা রয়েছে। শাজাহানপুর থানা পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে। জানা যায়, শীর্ষ সন্ত্রাসী নুরুজ্জামান নুরু শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিড়া ইউনিয়নের মাঝিড়াপাড়ার মৃত খাজা মিয়ার ছেলে। তিনি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। এলাকায় হত্যা, চাঁদাবাজি, জমি দখল ও সহিংসতাসহ বিভিন্ন অপরাধে তার বিরুদ্ধে শুধু শাজাহানপুর থানায় ১৩টি মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়া বগুড়া সদর থানায় তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। গত বছরের ৬ এপ্রিল নুরু ও তার বাহিনীর সদস্যরা শাজাহানপুর থানায় ঢুকে বার্মিজ চাকুসহ গ্রেফতার মাদক মামলার এক আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। সে সময় তিনি গ্রেফতার হন। গত ৫ আগস্টের পর জামিনে ছাড়া পেয়ে আত্মগোপন করেন। গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে থাকেন। পরে পরিচয় গোপন করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আবাসিক হলে অবস্থান করেন। শিক্ষার্থী না হয়েও নুরু অবৈধভাবে হলে অবস্থানের বিষয়টি শিক্ষার্থীরা টের পান। পরে তারা বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়ে নিশ্চিত হন যে, তিনি অবৈধভাবে হলে অবস্থান করছেন। শিক্ষার্থীরা বুধবার বিকেলে নুরুকে হল এলাকায় অবরুদ্ধ করে প্রশাসনকে খবর দেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ওয়াদুদ আলম জানান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বুধবার বিকেলে নুরুজ্জামানকে আটক করে আশুলিয়া মডেল থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন। খবর পেয়ে তাকে সাভার থেকে আনতে শাজাহানপুর থানা পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ভোরের দিকে শাজাহানপুর থানায় এসে পৌঁছেছে সন্ত্রাসী নুরু। পরে তাকে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ডিবি পুলিশ এদিন বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।