বগুড়া সংবাদ: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে গ্রেপ্তার আতংকে রয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। অন্য দিকে দৃশ্যমান মাঠ পর্যায়ে এখনো পুলিশ প্রশাসন কাজ শুরু করেনি। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে বিরোধী দল দমন-পীড়নের মূল হোতা ও সরকারের নানান অন্যায় আদেশ পালন সহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার বুকে নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যাও অভিযোগ রয়েছে রাষ্ট্রীয় এই বাহিনীর উপরে। তাই পুলিশ প্রশাসন দায়সাড়া ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক সতেচন মহল। এতে করে এলাকায় একের পর এক ঘটে চলেছে নানা বিশৃঙ্খলাসহ চুরি, ছিনতাইয়ের মত ঘটনা। এছাড়া সম্প্রতি বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের চার নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১৪ দিন পূর্বে ৭৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলেও আজ পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এছাড়া গত রোববার (২৫ আগষ্ট) রাতে আদমদীঘি উপজেলা জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি মিজানুর রহমান বাদী হয়ে বিএনপির অফিসে ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অনাধিকার প্রবেশ করে ককটেল বিস্ফোরন, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, হুমকিসহ ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনের সাবেক এমপি সাইফুল্লাহ আল মেহেদী বাঁধন, তার বাবা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, তার মা জেলা পরিষদের সদস্য ও মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনজু আরা বেগম, ভাইস চেয়ারম্যান মাহামুদুর রহমান পিন্টু, ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানসহ ১২৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২৫০ জনের নামে বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনে আরও একটি মামলা দায়ে হলেও কোন আসামী গ্রেপ্তার হয়নি। এসব মামলার কিছু আসামীরা প্রকাশে ঘোরাফেরা করলেও কি কারণে আসামীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না এমন প্রশ্ন জনমনে ঘোরপাক খাচ্ছে।
আদমদীঘিতে গ্রেপ্তার আতঙ্কে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা, মাঠে নেই পুলিশ
এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী জানান, সম্প্রতি বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনে দায়েরকৃত দু’টি মামলার আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না। তবে গ্রেপ্তারের জন্য বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে এবং গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।