বগুড়া সংবাদ : বগুড়ার আদমদীঘিতে রান্না করা খাবারের পাতিল নামানোর বেড়ির আঘাতে জোবেদা (৫৮) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তার মেয়ের জামাই রাসেল হোসেন (২৭) রাগের বসে তাকে ওই বেড়ি দিয়ে আঘাত করে। এতে আহত ওই নারীকে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান তিনি। গত বুধবার ১০ জুলাই সন্ধ্যায় উপজেলার চাঁপাপুর ইউপির মিতুইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জোবেদা ওই গ্রামের মৃত সোলেমানের স্ত্রী এবং রাসেলের শ্বাশুড়ি। এ ঘটনায় এদিন রাতেই জামাই রাসেল হোসেন কে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১২ বগুড়া।
জানা যায়, উপজেলার চাঁপাপুর ইউপির মিতুইল গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রী ছালেহা বেগমকে নিয়ে বসবাস করছিলেন জামাই রাসেল হোসেন। বুধবার দুপুরে কাজ শেষে খাবার খেতে যান জামাই রাসেল। খাবার হতে দেরি হওয়ায় স্ত্রীকে মারধর করেন তিনি। এ সময় তার শ্বশুড়ী বাধা দিতে গেলে রান্না করা খাবারের পাতিল নামানোর বেড়ি দিয়ে আঘাত করে শ্বাশুড়ি জোবেদাকে। বেড়িটি গলার শ্বাসনালীতে লেগে গুরুত্বর আহত হয়। পরে আহত ওই নারীকে চিকিৎসার জন্য নিটকবর্তী দুপচাঁচিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয় লোকজন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। আর জামাই রাসেল হোসেন ঘটনার পর পরই পালিয়ে যান। এ ঘটনায় গত বুধবার রাতেই আদমদীঘি থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন নিহতের ভাই তবিবুর রহমান। এরই পেক্ষিতে আদমদীঘি থানা পুলিশ, র্যাব-১২ ও র্যাব-১৩ এর যৌথ অভিযানে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানাধীন হাজীপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২ ঘন্টার মধ্যেই আসামী রাসেলকে গ্রেপ্তার করে। আটককৃত রাসেল উপজেলার মিতইল গ্রামের সেলিমের ছেলে।
এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের নিটক হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রাসেলকে যৌথ অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে। বগুড়া র্যাব-১২ কোম্পানী কমান্ডার পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন বলেন, অভিযুক্ত জামাই রাসেলকে আটক করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদমদীঘি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।