
বগুড়া সংবাদ : বগুড়া ওলামা মাশায়েক পরিষদের সিরাত সেমিনার শনিবার সকালে বগুড়ার টিটু মিলনায়তনে উলামা মাশায়েখ পরিষদ বগুড়া শহর শাখার সভাপতি ও শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আলমগীর হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। শহর শাখার সেক্রেটারী মাওলানা ড. মাওলানা আবু সালেহ মামুনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেস্টা ও জামিয়া ইসলামিয়া আল আকাবার অধ্যক্ষ মাওলানা আবিদুর রহমান সোহেল। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্ট্যাডিজ বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও কলা অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মো: বেলাল হোসাইন। অনুষ্ঠানে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সরকারি আজিজুল হক বিশ্বদ্যিালয় কলেজের আরবি ও ইসলামী শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মাওলানা মুনিরুজ্জামান ইউসুফী। আরো আলোচনা পেশ করেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. কামরুল হাসান, কারবালা মাদ্রাসা বগুড়ার শায়খুল হাদীস মুফতি মাওলানা ফজলুল করিম রাজু, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বগুড়া অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, সংগঠনের উপদেস্টা অধ্যাপক আ.স.ম আব্দুল মালেক, মাওলানা আব্দুল হালিম বেগ, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদ বগুড়ার সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল বাসেত, অ্যাডভোকেট রিয়াজ উদ্দিন, অ্যাডভোকেট আল আমিন, অধ্যাপক হাবিবুর রহমান আকন্দ, মাওলানা সাইদুল ইসলাম, ড. মাওলানা আব্দুল বারী রশিদী প্রমুখ ।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক বলেন, আধুনিক ও ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র বিনির্মাণে মহানবীর জীবনাদর্শের কোন বিকল্প নেই। তিনি বলেন বিশ্বসেরা মহামানব মহানবী (সা: ) দেখানো পথেই একমাত্র শান্তি এবং মুক্তি সম্ভব। বিশ্ব মানবতার কল্যাণের জন্য আল্লাহর জমিনে
আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠায় ছিল রাসুলের প্রধান কাজ। সেই কাজ আমাদের কেও ব্যক্তি,পরিবার, সমাজ এবং ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় করতে হবে।
প্রধান অতিথি বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে কোন সরকার দেশকে কল্যাণ রাস্ট্রে পরিণত করতে পারেনি। আমাদের কাজ হলো জনগনের কাছে যাওয়া এবং কুরআনের দাওয়াত পৌছে দেয়া। ভালোবাসা অর্জনে জনগণের পাশে দাঁড়ানো ও চাহিদার আলোকে আগামীর বাংলাদেশ তৈরিতে সকল আলেম সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। দীর্ঘদিনের বাঞ্চনা এবং দুর্নীতির বিপরীতে জামায়াতের সৎ দক্ষ এবং দুর্নীতিমুক্ত নেতৃত্ব দেশের মানুষকে আশাবাদী করে তুলেছে।
প্রফেসর ড. কামরুল হাসান বলেন, কোরআন ও হাদিসের আলোকে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে দক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে রাস্ট্র পরিচালিত করতে কাজ করতে হবে। রাসুলের সংগ্রামী জীবন কে সামনে রেখে নৈতিক অবস্থান দৃঢ় রেখে ন্যায় ও ইনসাফের উপর কল্যাণমুখী সমাজব্যবস্থা গঠনে কাজ করতে হবে।
ফজলুল করিম রাজু বলেন, দুনিয়াতে শান্তি আখিরাতে মুক্তির জন্য সবাইকে রাসুলের দেখানো পথ কুরআন হাদিস অনুসরণ করতে হবে।
অধ্রাপক নজরুল ইসলাম বরেন, পারস্পরিক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্ব এই কাফেলার মৌলিক অস্তিত্ব। অস্তিত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয় এমন সকল চিন্তা ও কর্ম থেকে জনশক্তিকে বিরত রাখতে হবে। দুনিয়ার প্রতি লোভ পরিত্যাগ করে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিরলস ভাবে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে কুরআন তেলাওয়াত করেন ক্বারী জুলকারনাইন রায়হান, নাতে রাসুল পেশ করেন মোঃ আব্দুল্লাহ হিসাম।