
বগুড়া সংবাদ : সোনাতলা উপজেলাধীন বালুয়া ইউনিয়নের নগরপাড়া গ্রামে এক নারীকে কুকর্ম করার উদ্দেশ্যে তার শরীরে স্পর্শ করে সেলিম (২০) নামে এক লম্পট। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারপিটে আহত হয় নারীটির শ্বশুর তারাজুল ইসলাম (৫৫), স্বামী শাহাদৎ হোসেন (২০) ও নানী শ্বাশুরি মোছাঃ আয়েলা ওরফে আয়না (৭০)। আহত ব্যক্তিরা ওইদিন সোনাতলা স্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ ব্যাপারে লম্পট সেলিম-সহ ৫জনকে অভিযুক্ত করে শাহাদতের স্ত্রী বাদী হয়ে গত ১ আগস্ট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আসামীদের মধ্যে একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মিলন মিয়া (৪৫) ও তার শ্বশুর ছাইদুল ইসলামকে (৬০) পুলিশ গত বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। মামলা ও গ্রেফতার ঘটনায় আসামী পক্ষের ১৫-১৬ জনের একদল যুবক ক্ষিপ্ত হয়ে গত শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি থাকা গুরুতর আহত রুগী তারাজুল ইসলামকে দাবান-শাসান ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অপহরণ করার চেষ্টা করে। এ সময় অন্যান্য রুগী ও রুগীর লোকজন বাঁধা দিলে তারা চলে যায়। বিষয়টি তারাজুল ইসলামের লোকজন ওইদিন রাত ৮টার দিকে থানার ওসি মিলাদুন নবীকে মৌখিকভাবে অবহিত করেন। এদিকে আসামী পক্ষ থেকে তারাজুল ইসলামসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় পাল্টা একটি মামলা করার প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে। গত ২৬ জুলাই দুপুরে নারীটি তার শয়ন ঘরে নিজের শিশু সন্তানকে দুধ খাওয়াচ্ছিল। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সেলিম ঘরে ঢুকে তাকে জাপটে ধরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করে। এ সময় নারীটির ডাকচিৎকারে শ্বশুর তারাজুল ইসলাম-সহ বাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে হাতেনাতে ধরে ফেলে সেলিমকে। এ নিয়ে মারপিটের ঘটনা ঘটে। মারপিট করার সুযোগে লম্পট সেলিমকে তার লোকেরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আবারো যে কোনো সময় আসামী পক্ষের লোকজন তারাজুল ইসলামে অপহরণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে তারাজুল ইসলাম ও তার লোকজন।
Bogra Sangbad সত্য সন্ধানে আমরা