বগুড়া সংবাদ : বগুড়া শহরের ফুটপাতে দোকান বসানোর জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আহত কাটনারপাড়ার লেদ শ্রমিক নাজমুল প্রামানিকের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে শহরের সাতমাথায় কাটনারপাড়া এলাকাবাসী এ মানববন্ধন করে। নামজুল শহরের উত্তর কাটনারপাড়া হটু মিয়া লেনের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কাটনারপাড়ার সালমান ইসলাম, তরিকুল ইসলাম, চাচা আমিনুল ইসলাম, ইউসুফ মন্ডল, আদর শেখ, চাচাতো ভাই আসিফ মন্ডল, রানা শেখ, সাগর হোসেন ও ফুফু রুমি বেগম। এসময় সন্ত্রাসী হামলার বর্ণনা দিতে গিয়ে অঝোরে কেঁদে ওঠেন মা নাদিরা বেগম ও দাদী জাহানারা বেওয়া।
দাদী জাহানারা বেওয়া বলেন, লেদে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো নাজমুল। তার উপর অন্যায়ভাবে হামলা করে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। ছুরিকাঘাতের ঘটনায় নাজমুলের ডান পা কেটে ফেলা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।
মানববন্ধনে ছুরিকাঘাতে পঙ্গু হওয়া নাজমুল বলেন, আমার এক পা কেটে ফেলেছে। প্রতিবন্ধী হয়ে গেছি। সংসারের হাল ধরতে গিয়ে বোঝা হয়ে গেলাম। দরিদ্র বাবা-মায়ের এক ছেলে ও এক মেয়ে। ভাই পঙ্গু হলে সংসারও পঙ্গু হয়ে যায়।
এরআগে গত ১৫ মে শহরের সাতমাথা এলাকায় দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে সুলতানগঞ্জপাড়া এলাকার নতুন ব্রীজের মোড়ে লেদ শ্রমিক নাজমুলকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তার ডান পায়ের পেছনে রণকাটা গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে প্রতিপক্ষরা। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় আহত নাজমুলের দাদী জাহানুর বেওয়া বাদী হয়ে ৪জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২ থেকে ৩ জনের বিরুদ্ধে ১৬ মে বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নাজমুলের শরীর থেকে ডান পা কেটে বিচ্ছিন্ন করা হয়।
Bogra Sangbad সত্য সন্ধানে আমরা