সর্বশেষ সংবাদ ::

যুবদল নেতা রাশেদুলের স্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

যুবদল নেতা রাশেদুলের স্ত্রীর
সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

বগুড়া সংবাদ : বৃহত্তর বগুড়া নিউ মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক ও বগুড়া জেলা যুবদলের সিনিয়র সদস্য রাশেদুল ইসলামের স্ত্রী রুমা ইসলাম বুধবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, “আমি মোছাঃ রুমা ইসলাম স্বামী-মোঃ রাশেদুল ইসলাম, সহ সভাপতি সাবেক জেলা ছাত্রদল ও সাবেক সহ সভাপতি যুবদল ও বর্তমান সিনিয়ার সদস্য বগুড়া জেলা যুবদল। আমি অতিদুঃখের সাথে জানাইতেছি যে, ইসলাম আমি আমার বিবাহিত জীবনে ১২ বছর ধরে রাশেদুলের সাথে সংসার করছি । আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে। আমার সংসার জীবনে রাশেদুল কখনো আমাকে ও আমার সন্তানদের সময় না দিয়ে সে শুধু তার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান সেফালী পর্দা গ্যালারী ও বৃহত্তর নিউ মার্কেট দোকান মালিক সমিতি-তে সে সবসময় সময় দিতো। কিন্তু আমাদের আজকে সময় না দিয়ে ২০২৫ এর ১লা জানুয়ারী তার বৃহত্তর মার্কেটে প্রায় ১২শর মতো দোকানদার নিজ উদ্দ্যেগে একটি খাওয়া দাওয়ার অনুষ্ঠান ছিল। যাহা সন্ধ্যা ৭টায় মার্কেট বন্ধ করে রানা-বান্নার কাজ হওয়ার কথা ছিল। হঠাৎ আমি জানতে পারি ৩০/১২/২০২৪ ইং তারিখে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের হয় সামান্য দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে তাও আবার বাদী মোঃ আরমান আলী শেখ তার কোন নিজস্ব ব্যবসা বাণিজ্য নেই নিউ মার্কেটে। তাহার বাবা শওকত আলী একজন সেলুন ব্যবসায়ী ছিল। যাহা বগুড়া শহরের সবাই জানে। আরও দুঃখের কথা যে মোঃ রাশেদুল ইসলাম একজন সেফালী পর্দা গ্যালারী এর মালিক ও বৃহত্তর দোকান মালিক সমিতির এর সাধারণ সম্পাদক ও বগুড়া জেলার ৪২ টি মার্কেট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক । শুধু তাই নয় সে একজন বিএনপি-র যোদ্ধা ও কর্মী। আসামী (২) মোঃ আসমাউল হোসেন, মদীনা ক্লোথ স্টোর ও চুরি পট্টি মার্কেট এর মালিক ও বগুড়া বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মৃত হারেক আলী’র বড় ছেলে যাহা সবার চেনা। আসামী (৩) মোঃ রিয়াদ, পিতা-জাকির খান, দেলোয়ার খান নিউ মার্কেট, বড় মসজিদ লেন মার্কেট এর মালিক ও আরও দুঃখের বিষয়, আব্দুল খালেক খান এর ছেলে জাকির খান ও জাকির খান এর বড় ছেলে রিয়াদ খান আর খানের দাদি মোছাঃ আসাদুননেছা যাহা রিয়াদ খান এর বড় মা, আজ রিয়াদ খান আসামী যাহা দখলদার এর ফাঁদ । হাস্যকর বিষয় আসামী (৪) জাকির খান, বাবা ও ছেলে দুইজনই চাঁদাবাজ ও অথচ জাকির খান দুই মাস যাবৎ ঢাকা স্কায়ার হাসপালে ভর্তি আছেন এবং তিনি সপ্তাহে দুই বার ডায়ালাইসিস করেন। এই মিথ্যা মালার জন্য আরকি দরকার। আসামী (৫) মোঃ আলমঙ্গীর হোসেন বাবু সে ব্যবসায়ী ও আসামী (৬) মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন তারা আপন দুই ভাই । এই সমাজে দুই ভাই একসাথে চাঁদাবাজী করে এটা মিথ্যা কথা । আসামী (৭) মাহুদ শেখ, মারুফ বস্ত্রালয় এর মালিক। আসামী (৮) মোঃ মামুন শেখ হলেন আসামী মাহুদ শেখ এর আপন ছোট ভাই । তারা দুই ভাই চাঁদা বাজ। মারুফ শেখ এটা দিয়ে মোট ০৩ ভাই আসামী শুধু মারুফ বস্ত্রালয় থেকে। আসামী (১০) বজলার রহমান কাজল ৬৫ বছর বয়সে চাঁদাবাজির মামলার আসামী । যাহার হার্টে রিং পড়ানো ও তিনি ডায়াবিটিস এর রোগী। কোকারিজ মার্কেট এর সাধারণ সম্পাদক। আসামী (১১) মোঃ মাছুম, ওমর এন্ড ব্রাসাস ও মাছুম ক্লোথ স্টোরের মালিক। ঢাকার পড়ে উত্তর বঙ্গের এত বড় কাপড়েরর ব্যবসায়ী নেই। সে নাকি সামান্যে এই দুই লক্ষ টাকার চাঁদা বাজের আসামী। আসামী (১২) মোঃ ইউসুফ যাহার জীবন আল্লাহর রাস্তায় ও মসজিদের খাদেম। সে নাকি আসামী ও জাকির খান ও রিয়াদের বাসায় থাকে ও দেলোয়ার খাঁন মার্কেট এর ম্যানেজার। আসামী (১৩) রতন ভাই ব্যবসায়ী মিয়জি এন্ড সন্স এর মালিক। আসামী (১৪) মালিক রতন এর বড় ভাই। আসামী (১৫) শামিম এডি মার্কেট এর ব্যবসায়ী। আসামী (১৬) হুমায়ন কবির ডাবু, মনোরমা নিউ মার্কেট এর মালিক বি.এন.পি এর কর্মি ও যখন বগুড়া শহরের সোনার ছিলো ইসলাম সোনারে বড় ছেলে। ও চেলোপাড়া ও লাটাই পাড়া এলাকায় যাদের ৭৫% জায়গা ও সম্পদ এ মালিক ও পাঞ্জাবী পয়েন্ট এর মালিক। সে ৭০ বছর বয়সে সেও নাকি চাঁদা বাজ । আসামী (১৭) আবু বক্কর সিদ্দিক সে নাকি জ্ঞানের আলো একটি সেবামুলক বইয়ের দোকান। যার বয়স ৬৮ বৎসর। আসামী (১৮) মাহাবুব বাদুর তলো এটা আরমান আলী শেখের পারিবারিক জের এখানে মিথ্যা আসামী মাহাবুব নামে কোন দোকানদার নাই। আসামী (১১) সবুজ আদর্শ লাইব্রেরী এর মালিক। আসামী (২০) মোঃ নীরু যাহার বয়স ৯১ এই বছর এর একটি প্রবিন মানুষ নাকি চাঁদাবাজ । আসামী (২১) কাজল মজিদ এর দোকান এর হাতে করা পেটে খাওয়া কর্মচারী ৩০০ টাকায বেতন ভুক্ত। আসামী (২২) আরিফ, সে বস্ত্রালয় এর মালিক। আসামী (২৩) পিয়াস ব্যবসায়ী বাবলুর ছেলে বাবুল ছেলে বাবা ১৭ নং আসামীর বাবা ছেলে আসামী । আসামী (২৪) নূর ইসলাম ভাই ও ভাতিজা আসামী । আসামী (২৫) শোভোন আদর্শ লাইব্রেরী দুই ভাই। রাশেদুল সহ এই ২৫ জন আসামী সবাই এই সরকার কে কর দিয়ে ব্যবসা করে। এই করের টাকায় এই দেশের সরকারের সহকারী। এরা সবাই নিউ মার্কেট এর ব্যবসায়ী । বগুড়া নিউ মার্কেটের কেউ চাঁদা বাজ না। সবাই শান্তি প্রিয় ব্যবাসায়ী। চাঁদা বাজ এরা আওমীলীগ সরকারের আমলে হামিদুল হক চৌধুরী হীরু । এমন কেউ নাই জানে না হর্কাস মার্কেট থেকে দোকান দখল করে কোটি কোটি টাকার চাঁদাবাজী করে। ৫ই আগষ্ট এ পড়ে শুরুতেই বগুড়া জেলা মিনি বাস মালিক সমিতি ও ডাইবেটিস সমিতি ও তার পরে নিউ মার্কেট মালিক সমিতির বড় মসজিদ এর কমিটি দখল করার জন্য রাশেদুল সহ এই ২৫ জন ব্যবসায়ী কে মিথ্যা মামলা করে অর্থের বিনিময়ে মামলা তদন্ত না করে রাশেদুল কে থানায় না রেখে কোটে পাঠিয়ে দেয় । যাহা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট এর তিব্র নিন্দা জানাই। ২৪ ঘন্টার ভিতরে রাশেদুল কে মুক্তি না দিলে আমরা বৃহত্তর মালিক সমিতি বগুড়া জেলার সম্পূর্ন মার্কেট বন্ধ করে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করবো।”

 

Check Also

শাজাহানপুরে তারুণ্যের উৎসব ফুটবল টুর্নামেন্ট ফাইনাল

বগুড়া সংবাদ :বগুড়ার শাজাহানপুরে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উপলক্ষ্যে আন্তঃইউনিয়ন অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্টর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *