বগুড়া সংবাদ :বৃত্তর নিউ মার্কেট ব্যবসায়িক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রিয় বড় জামে মসজিদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলামের উপর হামলা ও দোকান ভাংচুর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় বগুড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রাশেদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার আমলে আমরা বৈধ কমিটি থাকা অবস্থায় শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি রফি নেওয়াজ খান রবিন ও জেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ- সভাপতি আলহাজ্ব শেখ সহ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন সন্ত্রাসীরা কেন্দ্রীয় বড় জামে মসজিদ অবৈধভাবে দখল করে। আমি মোঃ রাশেদুল ইসলাম সহ আমার দোকানদার মালিক সমিতির সদস্যগণ প্রতিবাদ করিলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তারা অবৈধভাবে বড় মসজিদ কমিটি পরিচালনা করে। ৫আগষ্টের পরে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরে ডিসি সাহেবের সাথে আলোচনা করে মিটিং করে আমি সহ সকল দোকানদার বড় মসজিদ কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি। দায়িত্বকালিন চলা অবস্থায় আমরা কমিটির লোকজন জানতে পারি বগুড়া শহর বিএনপির সভাপতি হামিদল হক চৌধুরী হিরুর নির্দেশে শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি রফি নেওয়াজ খান রবিন ও শহর যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব শেখ পূর্বের অবৈধ কমিটিকে নিয়ে আমাদেরকে না জানিয়ে ঢাকা ওয়াকফ ইস্টেট থেকে গোপনীয় একটি কমিটি করে। ওই কমিটির বৈধতা দেওয়ার জন্য শহর বিএনপির সভাপতি হামিদুল হক চৌধুরী হিরু নির্দেশে বৈধতা চান। পরে আমরা তা জানতে পারলে জেলা বিএনপির সভাপতি ও শহর বিএনপির সভাপতি এবং ডি.সি সাহেবের সাথে দেখা করি। শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি রফি নেওয়াজ খান রবিন ও জেলা যুবলীগের সিনিয়র সভাপতি আলহাজ্ব শেখের সময় গঠিত কমিটি দ্বারা পরিচালিত করতে চান বড় ভাই। তখন হামিদুল হক চৌধুরী হিরু ভাই বলেন আওয়ামীলীগের লোকজন থাকবেই তোমাকে কি রাশেদুল আওয়ামীলীগের লোকজনকে বের করে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তখন আমি নিরুপাই হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরাবর তাদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দাখিল করি। হামিদুল হক চৌধুরী হিরু বিএনপির সকল নেতাকে তোয়াক্কা না করে ২৫/০১/২০২৪ ইং বুধবার বাদ যোহর কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ বগুড়ায় আজকের বড় দিনের ছুটি থাকাকালিন হামিদুল হক চৌধুরীর হিরুর নির্দেশে ডিসি অফিসের একজন সরকারি কর্মকর্তা আমাদেরকে না জানিয়ে হামিদুল হক চৌধুরীর হিরুর ছেলে পেলে সহ একটি কমিটি ঘোষণা করেন। আমরা যোহর নামাজ শেষ করে জানতে চাহিলে হামিদুল হক চৌধুরীর হিরুর কিছু চিহ্নত সন্ত্রাসী ছেলে পেলে আমি রাশেদুল ইসলাম আমাকে বড় মসজিদে ধাক্কাধাক্কি করতে করতে নিচে নিয়ে আসে। নিচে কিছু দোকানদার আমাকে বাঁচাতে গেলে এক পর্যায়ে তাদের দোকানের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ও আমাকে হুমকি ধামকি দিয়ে প্রানে শেষ করে দেওয়ার হুমকি দেয়।
Check Also
শাজাহানপুরে তারুণ্যের উৎসব ফুটবল টুর্নামেন্ট ফাইনাল
বগুড়া সংবাদ :বগুড়ার শাজাহানপুরে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উপলক্ষ্যে আন্তঃইউনিয়ন অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্টর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত …