বগুড়া সংবাদ : বগুড়ার শিবগঞ্জে স্বামীর বাড়িতে গলায় ফাঁস দেয়া ও হাতের কবজি কাটা অবস্থায় লিমা বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার কিচক ইউনিয়নের ধোপাকুড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে পরিবারের দাবি নির্যাতনের পর পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছে স্বামী মাসুদ রানা। তাদের অভিযোগ প্রায় ১ বছর আগে আরেকটি বিয়ে করেন মাসুদ রানা। সেই স্ত্রীর ঘরে জন্ম নেয়া নবজাতককে দেখতে না যাওয়া নিয়ে দু’জনের মধ্যে কলোহ চলছিলো। এরই জেরে শুক্রবার রাতে লিমার হাতের কবজি কেটে গলায় ফাস দিয়ে আত্নহত্যার নাটক সাঁজান মাসুদ রানা। দেড় যুগ আগে শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান এলাকার লিমার সাথে বিয়ে হয় উপজেলার কিচক ইউনিয়নের ধোপাকুড় গ্রামের মাসুদ রানার। তাদের ঘরে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তান আছে।
নিহত লিমার বাবা আফজাল হোসেন জানান, আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এর আগে কয়েকবার মেয়ের বাড়িতে বিচার সালিশ করেছি। আমার মেয়েকে বিয়ে করার পর মাসুদ আরও কয়েকটা বিয়ে করে। তারপর থেকে আমার মেয়ের প্রতি নানা রকম নির্যাতন চালায়। শুক্রবার রাতে মাসুদ, মাসুদের মা আর মাসুদের বোন আমার মেয়ের হাতের কবজি কেটে গলায় ফাস দিয়ে মেরে ঝুলিয়ে রাখে।
নিহত লিমার বোন নারগিস বেগম জানান, প্রায় এক বছর আগে মাসুদ একটি বিয়ে করে। সেই স্ত্রীর ঘরে জন্ম নেয়া নবজাতকের আকিকার দাওয়াতে আমার বোন না যাওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে আমার বোনকে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছিলো মাসুদের বোন।
নিহত লিমার ছেলে রিমন(১৪) জানায়, সকালে উঠে আমি মাকে ডাকি। সাড়া না পেলে দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে দেখি যে আম্মুর মরদেহ ঝুলিয়ে আছে।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।