বগুড়া সংবাদ: বগুড়া শহরের জলেশ^রীতলায় নির্মাণাধীন মহাস্থান টাওয়ারের জমি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে জনৈক মিনা বেগমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন জলেশ^রীতলার মৃত মোস্তফা আলী আসান এর ছেলে মোস্তফা নিয়াম মোর্শেদ। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, “বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলার নুর মসজিদ লেন এলাকায় যথাযথ নিয়ম মেনেই মহাস্থান টাওয়ার নির্মাণ করা হচ্ছে। যেখানে কোন জমি দখলের বিষয় নেই। উক্ত বিষয়ে মোছা: মিনা বেগম গত ২ নভেম্বর বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে যে তথ্য উপস্থাপন করেছেন তা মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বগুড়ার গাবতলী পৌরসভার সাবেক সফল মেয়র ও জেলা বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলামকে জড়িযে যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রনোদিত। মূলত জননন্দিত মেয়র সাইফুল ইসলামসহ গন্যমান্য ব্যক্তিদের সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতেই উক্ত সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মহাস্থান টাওয়ার যেখানে নির্মান হয়েছে সেই জমির মূল মালিকের কাছে থেকে ক্রয় করে, যথাযথভাবে দলিল সম্পাদন করে ডেভলোপারদের কাছে নির্মান কাজের জন্য দেয়া হয়েছে। আমি উক্ত জমি ক্রয়ের পূর্বে জমির অংশীদার ও ওয়ারিশদের কাছে থেকে রেজিস্ট্রি অফিসে সরকারী নিয়ম মেনেই দলিল সম্পাদন করেছি। জমির খাজনা খারিজ, রেকর্ড, হোল্ডিংসহ সবকিছুই আমাদের নামে রযেছে। বগুড়া পৌরসভা থেকে প্লান পাশসহ সকল নিয়ম মেনেই নির্মান কাজ চলমান রয়েছে। একটি কুচক্রিমহ ঐ জায়গা থেকে অনৈতিকভাবে আর্থিক সুবিধা না পেযে মিথ্যা মালিক সাজিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের নামে বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করেছেন। যার মাধ্যমে জননন্দিত মেয়র সাইফুল ইসলামসহ গন্যমান্য ব্যক্তিদের সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে। তাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক সুনাম ক্ষুন্ন করা হয়েছে। আমি উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এহেন মিথ্যাচার বন্ধ করার আহবান জানাচ্ছি। প্রকৃত বিষয় হলো যারা ঐ জমির মালিকানা দাবি করছে তারা কোন কাগজপত্র ও উপযুক্ত প্রমান ছাড়াই বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ করেছে যা শালিশ বৈঠকে মিথ্যা দাবী হিসেবে প্রমানিত হয়েছে। তাদের কোন জায়গা ওখানে নেই তাই জায়গা দখল করার প্রশ্নই আসে না। ডেভলোপার হিসেবে মেয়র সাইফুল ইসলামের নাম জড়িত করা হয়েছে তা সঠিক নয়, তিনি ঐ জায়গা ক্রয় বিক্রয় বা ডেভলোপের সাথে কোনভাবেই সম্পৃক্ত নয়। মূলত টাওয়ার নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী দিনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে তিনি ওখানে এসেছিলেন। তাই তাকেসহ দীপ নামে একজন ব্যক্তিকে জড়িয়ে যে তথ্য মিনা বেগম সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থাপন করেছেন তা শুধুই মিথ্যাচার ও হীন ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে।”
Check Also
দুপচাঁচিয়ায় মাদ্রাসার সুপারকে মারপিট করে চাঁদা দাবীর প্রতিবাদে শিক্ষক-কর্মচারী পরিবার কল্যান সংস্থার মানববন্ধন
বগুড়া সংবাদ : দুপচাঁচিয়া উপজেলার চামরুল ইউনিয়নের জোহাল মাটাই ও টেমা দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবুল …