বগুড়া সংবাদ: গত ২০ জুন ২০২৪ তারিখ ভিকটিম মোসাঃ রেহেনা আক্তার খলিশাগাড়ী সাকিনের ফিরোজ ইসলামের সাথে বিবাহ করে ঘর সংসার করাকালে আসামি রুহুল আমিন প্রায়ই ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। এক পর্যায় আসামির প্ররোচনায় গত ইং ২৪/১২/২০২৩ খ্রিঃ তারিখে ভিকটিম তার স্বামীকে তালাক প্রদান করে। অতঃপর আসামি ভিকটিমকে তার সাথে বিবাহের প্রলোভনে প্রলুব্ধ করে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে থাকে। পরবর্তীতে ঘটনার দিন আসামি বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমকে খরব দিয়ে তার বাড়ীতে নিয়ে আসে। ভিকটিম সরল বিশ্বাসে আসামির বাড়ীতে এসে ঘটনার সময়ে বাড়ীতে আসামির পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে দেখতে না পেয়ে জিজ্ঞাসা করে বাড়ীর আর সদস্যরা কোথায়? তখন আসামি বলে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাড়ীতে থাকলে তোমার সাথে আমার বিবাহ হবে না। এই জন্য আমি তাদেরকে অন্যত্র পাঠিয়ে দিয়েছি। তখন ভিকটিম বলে বিয়ের কাজী ও হুজুর কোথায়? আসামি বলে চিন্তা করো না, বিয়ের কাজী ও হুজুর ১ ঘন্টার মধ্যে চলে আসবে। এই বলে আসামি বিবাহের প্রলোভনে ভিকটমকে তার নিজ শয়ন ঘরে বল প্রয়োগ করে ধর্ষণ করে এবং ভিকটিমকে রেখে আসামি পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-০৭, তারিখ- ২০ জুন ২০২৪ খ্রিঃ, ধারা- ৯(১) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/২০০৩)।
এরই ধারাবাহিকতায় মোহাম্মদ কামরুজ্জামান পিপিএম, অধিনায়ক র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ এর দিকনির্দেশনায় গত ০৯ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিঃ রাত ২৩.২৫ ঘটিকার সময় র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র্যাব-১২, সদর কোম্পানি এবং সিপিএসসি, বগুড়ার একটি চৌকস আভিযানিক দল ‘‘সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানাধীন হাটিকুমরুল এলাকায়” একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর রেহেনা ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও তার সাথে থাকা ০১ টি মোবাইল ও নগদ ৩,৩২০/- টাকা জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামি ১। মোঃ রুহুল আমিন (৩৫), পিতা- মোঃ আজাহার তালুকদার, সাং- গোলাহার, থানা- ক্ষেতলাল, জেলা- জয়পুরহাট।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।