ধুনটে বিদেশে পাঠানোর নামে প্রতারণা, পাওনা টাকা চাওয়ায় হুমকি!

ধুনটে বিদেশে পাঠানোর নামে প্রতারণা, পাওনা টাকা চাওয়ায় হুমকি!

বগুড়া সংবাদ :  বগুড়ার ধুনটে বিদেশে পাঠানোর নামে প্রতারণা করায় পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় এক ব্যক্তিকে আটকে রেখে জোরপূর্বক ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। এঘটনায় শনিবার ধুনট মডেল প্রেসক্লাবে লিখিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিচার দাবি করেন এলাঙ্গী ইউনিয়নের শৈলমারী গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে কাঠ মিস্ত্রী সবুজ আলী। লিখিত সংবাদ সম্মেলনে সবুজ আলী বলেন, আমার ভোট ভাই রিপনকে দুবাইতে শ্রমিক ভিসায় পাঠানোর জন্য একই গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে শিহাবুল ইসলাম আমার থেকে সাড়ে ৩লাখ টাকা নেয়। পরবর্তীতে আমার ভাইকে গত ১২ ফেব্রুয়ারী দুবাইতে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু আমার ভাই সেখানে গিয়ে জানতে পারে তাকে ট্যুরিস্ট ভিসায় পাঠানো হয়েছে। পরে সে কোন কাজ না পেয়ে দেশে ফিরে আসে। এরপর বিষয়টি শিহাবুলকে জানালে সে বলে, আরো ৩ লাখ টাকা দিলে তার ভিসাটি বৈধ করে স্থায়ী চাকরির ব্যবস্থা করে দিবে। তখন আমি টাকা সংগ্রহ করে গত ৫ জুলাই তাকে আরো ৩ লাখ টাকা প্রদান করি এবং শিহাবুল ডুকুমেন্ট হিসাবে তার নিজ নামীয় ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের একটি চেক এবং ৩০০ টাকার ননজুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে একটি অঙ্গীকার নামা লিখে দেয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও সে চাকরির ব্যবস্থা না করে সে আত্মগোপনে চলে যায়। এমতাবস্থায় গত ১৬ আগস্ট শিহাবুল বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করে। পরবর্তীতে পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে গত ১৯ আগস্ট শিহাবুলের বাবা ইউনুস আলী সহ তার লোকজন আমাকে নবিনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে তারা
আমাকে পাওনা টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টে আমাকে মারধর করে জোরপূর্বক ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বগুড়ার আদালতে ইউনুস আলী সহ ৭ জনের বিরুদ্ধ মামলা দায়ের করি। এরপর থেকেই আসামীরা আমাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। তাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এঘটনার বিচার দাবি করে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের
হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

Check Also

১৫ বছর পর সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া

বগুড়া সংবাদ : সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেনাকুঞ্জে পৌঁছেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *