বগুড়া সংবাদ : বর্তমান সরকার আসন্ন ঈদুল আযাহাকে সামনে রেখে খাদ্য সহায়তার আওতায় অতি দরিদ্র পরিবারের মাঝে জন প্রতি ১০ কেজি করে ভিজিএফ’র চাল বিতরনের কর্মসূচী গ্রহন করেছে। এবার বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় পবিত্র ঈদুল আযাহা উপলক্ষে ১৪ হাজার ৩শত ২৭ দরিদ্র পরিবারকে ১৪৩.২৪০ মেট্রিক টন ভিজিএফ’র চাল দেয়া হবে। তবে ভিজিএফ’র চাল জনপ্রতি ১০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা থাকলেও দেয়া হয়েছে সাড়ে ৭ কেজি থেকে ৮ কেজি এমন অভিযোগ করেছেন চাল নিতে আসা ভিজিএফি কার্ডধারীরা।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, আদমদীঘি উপজেলায় প্রায় ৫০ হাজার অতিদরিদ্র ও দুস্থ্য পরিবার রয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা সহ অন্যান্য ভাতাদি পাচ্ছে। এদের মধ্যে যেসব পরিবার ভাতা সহ অন্যান্য সুযোগ থেকে বঞ্চিত তাদের মাঝে এই চাল বিতরন করা হচ্ছে। এবারের ঈদে এই উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ১৪ হাজার ৩শ ২৭ জনের অনুকুলে ১৪৩.২৪০মেট্রিক টন ভিজিএফ’র চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে আদমদীঘি সদর ইউনিয়নে ১ হাজার ৮শ ৩৫জন, ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নে ১ হাজার ৭শ ৬৭ জন, সান্তাহার ইউনিয়নে ১ হাজার ৫শ ০৫ জন, নশরৎপুর ইউনিয়নে ১ হাজার ৬শ ৮৮জন, কুন্দগ্রাম ইউনিয়নে ১ হাজার ৪শ ৭৫ জন এবং চাঁপাপুর ইউনিয়নে ১ হাজার ৪শ ৩৫ জনের মাঝে প্রত্যেককে ১০ কেজি করে চাল বিতরন করা হবে। সুষ্ঠ ভাবে চাল বিতরনের জন্য এক জন করে তদারকি কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে বলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার কাওছার আলী জানান। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের অতিদরিদ্র ও দুস্থ্যদের মাঝে চাল বিতরনের সময় জন প্রতি ১০ কেজি চালের স্থলে কম চাল পেয়েছে বলে সুবিধাভোগী শিবপুর গ্রামের কলিম উদ্দীন, গোড়গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস, সাহারা বানু, শরিফ আলী, মুরাদপুর গ্রামের আসাদুল সহ অনেকেই জানান। সরজমিন দেখা যায় সুবিধা ভোগীদের কাছ থেকে স্থানীয় বাচ্চু মিয়া নামের চাল ব্যবসায়ী ২৫০ টাকার বিনিময়ে একেক জনের চাল কিনে নিচ্ছে। ওই চাল ব্যবসায়ীর সাথে এ প্রতিনিধি কথা বলতে গেলে তিনি বলেন সাংবাদিক নেতাদের ম্যানেজ করে চাল কিনছেন।
এ বিষয়ে পল্লী অফিসার ও চাল বিতরনের ট্যাগ অফিসার তৌহিদুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, তালিকাভুক্ত ছাড়াও অতিরিক্ত আরও কিছু দুস্থ্য ও দরিদ্র লোকজন চাল নিতে আসায় সকলকে একটু করে চাল কম দিয়ে অতিরিক্ত আগত দুস্থ্যদের চাল দেয়া হয়েছে। চাল বিক্রি বিষয়ে তিনি বলেন, কেউ যদি চাল পাওয়ার পর বাহিরে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে সেটা কি করে রোধ করবো। তবে প্রকাশ্য কিংবা চোখের সামনে চাল বিক্রির ঘটনা ঘটলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজের সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চাল ওজনে কম দিচ্ছে এই খবর আমার জানা নেই। তবে আপনি এত পরে কেন ফোন দিলেন আমাকে তখনই ফোন দিতেন আমি সাথে সাথে ব্যবস্থা নিতাম।