বগুড়া সংবাদ : বগুড়ার আদমদীঘিতে সারিকা ইসলাম তুশি (১৭) নামের দশম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। তরিঘড়ি করে মরদেহটি দাফনের চেষ্টা করছিল পরিবারের লোকজন। ফলে দশম শ্রেনীর ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয় রহস্যের। আর রহস্যের সৃষ্টি হওয়ায় মরদেহটি উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে পাঠায় থানা পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পরিবারের নিকট শিক্ষার্থীর মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়েছে। মৃত সারিকা ইসলাম তুশি সান্তাহার পৌর শহরের নতুন বাজার এলাকার শফিকুল ইসলামের মেয়ে ও নওগাঁ বিয়াম লাব্রটোরি স্কুলের দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী।
স্কুলছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য তরিঘড়ি করে মরদেহটি দাফনের চেষ্টা; উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠালো পুলিশ
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (১৫ মে) সকালে উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের বাঁশহাটি এলাকায় দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী সারিকা ইসলাম তুশির মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর পরিবারের লোকজন তরিঘড়ি করে লাশ দাফনের পাঁয়তারা শুরু করে। গোসল করানোসহ দাফনের সকল কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এমন সময় কেউ কেউ গলায় দাগ দেখতে পায়। এ নিয়ে এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
সূত্রে আরও জানা যায়, দশম শ্রেনীর এই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর তার মৃত্যু নিয়ে সৃষ্টি হয় রহস্যের। মৃত সারিকার গলায় ও শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখা যায় বলেও তারা জানান। গলায় দাগ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রাজেশ কুমার চক্রবর্ত্তী। তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে শিক্ষার্থীর মরদেহটি পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।