সর্বশেষ সংবাদ ::

কাহালুতে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে মালচিং পেপার ব্যবহার করে অসময়ে তরমুজ চাষ

কাহালুতে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে মালচিং
পেপার ব্যবহার করে অসময়ে তরমুজ চাষ

বগুড়া সংবাদ : বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার মালঞ্চা ইউনিয়নে গুড়বিশা গ্রামের সাইফুল ইসলামের পুত্র মেহেদী হাসান অসময়ে তরমুজ চাষ করে ব্যাপক লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন। সবজির আইলের পাশে কিংবা পতিত জমিতে মারচিং পদ্ধিতিতে সে তরমুজ চাষ করছেন। এটি গ্রীষ্মকালীন ফল হলেও এবার কাহালুতে অসময়ে চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন তিনি। অসময়ে চাষকৃত রঙ- বেঙয়ের তরমুজ ঝুলছে মাঁচাতে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মেহেদী হাসান ২৫ শতক জায়গায় প্রদর্শনী সহ পরীক্ষামূলক ভাবে প্রায় ৪ বিঘা জমিতে সুস্বাদু তরমুজের আবাদ করেছেন। অসময়ে তরমুজ চাষ করে তার ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন। সারা বছরই
এখন চাষ হবে উচ্চমূল্যের অফসিজন তরমুজ। এসব তরমুজ দেখতে গাঢ় সবুজ। খেতেও ভালো ও বেশি দামে বিক্রিও করতে পারবেন তিনি। এক সময়
বছওে তিন মাস বাজারে তরমুজ পাওয়া গেলেও এখন মিলবো সারা বছরই। মালঞ্চা ইউনিয়নের গুড়বিশা গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক মেহেদী হাসান নিজ ক্ষেতে তরমুজ পরিচর্চা কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। তরমুজের মাচার নিচে সারি সারি রঙ-বেঙয়ের তরমুজ ঝুলে আছে। বালাইমুক্ত রাখতে তরমুজ বাগানে ফাঁদ বসানো হয়েছে। গত মার্চ মাসের ১ম সপ্তাহে তরমুজের চারা রোপন করা হয়েছে। তরমুজগুলোকে নেটের ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে। কাহালু কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সহযোগিতায় আধুনিক পদ্ধতিতে তরমুজের চাষ করা হচ্ছে। সুস্বাদু ও মিষ্টি জাতের তরমুজের ফলনও বেশ ভালো। মেহেদী হাসান জানান, আমি পতিত ২৫ শতাংশ জমিতে প্রদর্শনী সহ প্রায় ৪বিঘা জমিতে পরীক্ষা মূলক ভাবে তরমুজের এ বাগান তৈরিতে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় আমি সফল হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। তরমুজ গাছের বয়স প্রায় তিন মাস। বর্তমানে তরমুজের ওজন তিন থেকে প্রায় সাড়ে তিন কেজি। কিছুদিনের মধ্যে তরমুজ বিক্রি শুরু হবে। কাহালু উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোসা. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, মালচিং পেপার ব্যবহার করে অসময়ে তরমুজ চাষে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ থেকে মেহেদী হাসানকে প্রদর্শনীর জন্য বিনামূল্যে সার, বীজ প্রদান এবং পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। উন্নত
জাতের বীজ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করে কৃষকদের অসময়ে তরমুজ চাষে উদ্ধুদ্ধ করা এবং কৃষকরা চাষ করে সফল হয়েছেন।
তরমুজ একটি অর্থকরী ফসল। তরমুজে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ। অর্থনৈতিক ভাবে বেকার যুবক ও কৃষককে স্বাবলম্বী করে তুলতে তরমুজ
চাষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ফলন বেশি হবে। তিনি আরও বলেন, মারচিং পেপার ব্যবহার করে তরমুজ
বেগুন, টমোটো ও শসা চাষ করা হচ্ছে।

Check Also

দুপচাঁচিয়ায় মাদ্রাসার সুপারকে মারপিট করে চাঁদা দাবীর প্রতিবাদে শিক্ষক-কর্মচারী পরিবার কল্যান সংস্থার মানববন্ধন

বগুড়া সংবাদ :  দুপচাঁচিয়া উপজেলার চামরুল ইউনিয়নের জোহাল মাটাই ও টেমা দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবুল …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *