সর্বশেষ সংবাদ ::

আদমদীঘি থানা সাধারণ মানুষের জন্য ২৪ ঘন্টা দরজা খোলা; ওসি রাজেশ কুমার

বগুড়া সংবাদ : পুলিশ দেখে সবাই ভয় পায়। নানা ধরণের জটিলতায় পড়তে হতে পারে এই ভাবনা সবার ভেতরে উঁকি দেয়। থানার ভেতরে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রত্যন্ত মানুষ দেখা করতে গেলে কাউকে সঙ্গে করে নিয়ে যায় ভয় কাটাতে। পুলিশ নিয়ে অনেকের এই রকম বিরুপ ধারণা থাকলেও আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি ) রাজেশ কুমার চক্রবতী সে ধারণা সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছেন। থানায় যেতে বা ওসির সাথে দেখা করতে আর ভয় পান না এই থানার বাসিন্দারা। তিনি একজন ব্যতিক্রমধর্মী পুলিশ কর্মকর্তা। প্রতিনিয়ত তিনি সহকর্মী ও সাধারণ জনগণের আদর্শগত ভিন্নতা মেনে নিয়ে পরস্পরের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন জনগণ ও দেশের কল্যাণে।

“পুলিশ জনগণের বন্ধু” তিনি এই বাক্যটির উৎকৃষ্ট নিদর্শন। তিনি অন্যতম একজন আদর্শ পুলিশ কর্মকর্তা যিনি তার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আধুনিকতা, প্রযুক্তি ও সততা এবং মেধার দক্ষতা দিয়ে অপরাধ দমনের চেষ্টা করেন দেশের কল্যাণে। “পুলিশ জনতার, জনতা পুলিশের” এই স্লোগানকে বাস্তবে রুপ দিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। বগুড়ার আদমদীঘি থানার ওসি রাজেশ কুমার চক্রবর্তী মানুষের চোখে আদর্শবান, ন্যায়নিষ্ঠা ও গরীবের বন্ধুসুলভ পুলিশ কর্মকর্তা। অধিকাংশ মানুষই তাকে গরীবের আস্থার শেষ আশ্রয়স্থল হিসাবে দেখছেন। পুলিশের এই কর্মকর্তা সাধারণ মানুষের সাথে চায়ের দোকনে, হাট বাজারে বসে তাদের সমস্যার কথা শোনেন তাদের সমস্যার সমাধান দিচ্ছেন। যেকোনো ধরনের ঘটনাই নিজেই ছুটে গিয়ে দাঁড়ান ভুক্তভোগীর পাশে।
এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবতী বলেন, আমার দরজা ও মোবাইল নাম্বার ২৪ ঘন্টাই সাধারন মানুষের জন্য খোলা থাকে। যে কারো যে কোনো সমস্যা সরাসরি ভুক্তভোগীরা আমাকে জানাতে পারে। আমার সাথে দেখা করার জন্য কোনো মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না। আমার সাথে যে কেউ যেকোনো সময় ফোনে বা সরাসরি কথা বলতে পারে। তাদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে পারে। আমি মনযোগ দিয়ে তাদের কথা শুনি তাদের সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকি। এই থানায় কোনো মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের জায়গা হবে না। যদি কেউ অপরাধ করে তাহলে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবেই। ওসি রাজেশ কুমার আরও বলেন আমি এই থানায় যোগদানের পর থেকে বিচক্ষণতা, বুদ্ধিমত্তা এবং মেধার বিকাশে তাঁর দায়িত্বরত এলাকায় মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের হাত থেকে মুক্ত করেছি। পাশাপাশি চুরি-ছিনতাই রোধে কঠর পদক্ষেপ গ্রহন করেছি। আর চুরি যাওয়া বেশ কিছু মোটরসাইকেল উদ্ধার করে মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছি। আমার চোখে ধনী-গরীব, ভ্যান চালক হতে সব শ্রেণির পেশার মানুষ সমান।

Check Also

১৩ ডিসেম্বর বগুড়ার কাহালু থানা হানাদার মুক্ত দিবস

  বগুড়া সংবাদ : বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভম ও ত্রিশ লক্ষ শহীদের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *