সর্বশেষ সংবাদ ::

সোনাতলা পোস্ট অফিসে আর্থিক প্রতারণার শিকার হয়ে গৃহবধূর সংবাদ সম্মেলন

বগুড়া সংবাদ : সোনাতলা উপজেলা সদরে পোস্ট অফিসে পরিবার সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে যেয়ে হোসেন আলী নামে পোস্টাল অপারেটরের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা প্রতারণার শিকার হয়েছেন ছনিয়া আকতার মিতু নামে এক গৃহবধূ। ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গৃহবধূটি নিরুপায় হয়ে মঙ্গলবার (৯ডিসেম্বর) বিকেলে সোনাতলা প্রেসক্লাবে সংবাদ করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেছেন,আমি পরিবার সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের জন্য গত ১৬ জুলাই-২০২৩ তারিখে সোনাতলা উপজেলা পোস্ট অফিসে যাই। সেখানে যেয়ে অফিসের হোসেন আলীর সাথে সঞ্চয়পত্র ক্রয় ব্যাপারে কথা হয়। তিনি নিজেকে এ অফিসের পোস্টাল অপারেটর হিসেবে পরিচয় দেন। পরের দিন হোসেন আলী আমাকে সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও পাঁচলাখ টাকা নিয়ে অফিসে আসতে বলেন। সেই হিসেবে আমি নগদ পাঁচলাখ টাকাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তার হাতে দিয়েছি। আধাঘন্টা পর হোসেন আলী আমাকে বলেন যে,আপনার পরিবার সঞ্চয়পত্র খোলা হয়েছে। এ মর্মে আমার হাতে একটি পূরণকৃত ফরম দিয়ে বিদায় করেন। আমি সরল বিশ্বাসে ফরমটি নিয়ে বাড়ি যাই। যাবার সময় হোসেন আলী আমাকে বলেন প্রতি মাসে মুনাফা নেয়ার চেয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ (৫ বছর মেয়াদী) হলে মূলধন ও মুনাফা-সহ অধিক টাকা পাবেন। ইতিমধ্যে আমার স্বামীর ব্যবসায়ীক কাজে টাকার প্রয়োজন হওয়ায় মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই গত ১৮ নভেম্বর-২০২৫ তারিখে স্বামীকে সাথে নিয়ে টাকা উত্তোলনের বা পরিবার সঞ্চয়পত্র ভাঙানোর জন্য সোনাতলা উপজেলা পোস্ট অফিসে যাই। যেয়ে শুনি উক্ত হোসেন আলী এ পোস্ট অফিসে কর্মরত নেই। অফিসের কর্মচারীরা বলেন, সে গাইবান্ধা প্রধান পোস্ট অফিসে কর্মরত আছেন। আমার সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের কাগজপত্র সোনাতলা উপজেলা পোস্ট মাস্টারকে দেখালে পোস্ট মাস্টার বলেন এ সঞ্চয়পত্র ভুয়া। তখন ছনিয়া আকতার মিতু তাকে বিষয়টি বিস্তারিত বলেন। শোনার পর পোস্ট মাস্টার মিতু ও তার স্বামীকে গাইবান্ধা প্রধান পোস্ট অফিসে গিয়ে হোসেন আলীর সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। সেই মোতাবেক মিতু তার স্বামী শাহিন আলমকে সাথে নিয়ে গাইবান্ধা প্রধান পোস্ট অফিসে যেয়ে সেখানকার পোস্ট মাস্টারকে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলেন। তখন হোসেন আলী পোস্ট অফিসে ছিলেন না। তাকে ডেকে নিয়ে শোনার পর আমাদেরকে মোবাইল ফোনে জানানোর আশ্বাস দেন গাইবান্ধা পোস্ট মাস্টার। পরবর্তীতে গাইবান্ধা পোস্ট মাস্টারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে পোস্ট মাস্টার বলেন যে, হোসেন আলী নাকি পরিবার সঞ্চয়পত্র ক্রয় বাবদ আপনাদের কাছ থেকে কোনো টাকা গ্রহণ করেননি। এ কথা শোনার পর হতভম্ব হয়ে ওঠেন ছনিয়া আকতার মিতু ও তার স্বামী শাহিন আলম। ফলে নিরুপায় হয়ে পোস্ট অফিসের প্রতারক হোসেন আলীর বিরুদ্ধে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত ছনিয়া আকতার মিতু টাকা উদ্ধার ও প্রতারক হোসেন আলীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বগুড়া জেলা ও রাজশাহী বিভাগীয় পোস্ট অফিসে লিখিতভাবে অবগত করেন। সংবাদ সম্মেলনে উক্ত মিতুর সাথে ছিলেন স্বামী শাহিন আলম ও ভাই মুজাহের হোসেন।

Check Also

সাবেক এমপি মাশরাফ হোসেনের অশ্লীল ছবি তৈরির হুমকি: থানা জিডি

  বগুড়া সংবাদ:  বগুড়া-৪ (কাহালু–নন্দীগ্রাম) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *