বগুড়া সংবাদ : ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি অমর্ত্য রায় ও সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলীর বিরুদ্ধে নীতিবহির্ভূত প্রক্রিয়ায় হয়রানীমূলক ও ভিত্তিহীন বহিষ্কারাদেশ এবং রাষ্ট্রীয় আইনে বাদী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের করা মামলার প্রতিবাদে আজ বিকাল ৫ টা ৩০ মিনিটে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্র ইউনিয়ন বগুড়া জেলা সংসদ।
বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সাতমাথায় এসে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে ছাত্র ইউনিয়ন বগুড়া জেলা সংসদের সভাপতি ছাব্বির আহম্মেদ রাজের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ রহমানের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি বগুড়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ফরিদ, ছাত্র ইউনিয়ন বগুড়ার সাবেক সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহানুর রহমান, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল বগুড়া জেলার আহ্বায়ক সাকিব খান, ছাত্র ইউনিয়ন বগুড়ার স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আফ্রিক হাসান প্রান্ত প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থাপনার দেয়ালে সমকালীন বিষয় ও আন্দোলন-সংগ্রামের বক্তব্য তুলে ধরে বিভিন্ন সময়ে গ্রাফিতি আঁকার রেওয়াজ আছে। ক্যাম্পাসে কোনো গ্রাফিতি পুরোনো হয়ে গেলে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সেখানে নতুন গ্রাফিতি বা দেয়াল লিখন করা খুবই সাধারণ ঘটনা। তারই ধারাবাহিকতায় ছাত্র ইউনিয়ন ক্যাম্পাসে চলমান একটি যৌক্তিক ও স্পর্শকাতর আন্দোলনের অংশ হিসেবে নতুন কলা ভবনের দেয়ালে ধর্ষণবিরোধী গ্রাফিতি অঙ্কন করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষয়ে যাওয়া দেয়ালচিত্র মুছে ধর্ষণ-বিরোধী গ্রাফিতি আঁকার দায়ে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি অমর্ত্য রায় ও সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলীকে বহিষ্কার ও তাদের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণের যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, তা নিপীড়ন-বিরোধী ও গণতান্ত্রিক লড়াইয়ে শামিল বিবেকবান নাগরিকদের স্তম্ভিত করেছে। বহিষ্কারের এ ঘটনা ধর্ষণ-বিরোধী আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করারই অপপ্রয়াস। গ্রাফিতি অঙ্কনের জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদন্ত কমিটি গঠন এবং কমিটির সুপারিশ ডিসিপ্লিনারি বোর্ডে না পাঠিয়ে তড়িঘড়ি করে সিন্ডিকেটে ছাত্রনেতাদ্বয়ের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ সুস্পষ্টভাবেই নিয়মবহির্ভূত, অন্যায্য এবং কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের এজেন্ডা বাস্তবায়নেরই নামান্তর।”
সমাবেশ থেকে বক্তারা, অবিলম্বে এই বহিষ্কারাদেশ ও ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। একইসাথে
নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ছাত্র ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে এই স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে দমন করার অগণতান্ত্রিক প্রবণতা রুখে দেওয়ার লক্ষ্যে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।