সর্বশেষ সংবাদ ::

বগুড়ায় শতাব্দী ফিলিং স্টেশনের ক্যাশিয়ারকে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা,তেল চুরির অপবাদ দেয়ায় জন্য

বগুড়া সংবাদ :বগুড়া শহরে দত্তবাড়ী শতাব্দী ফিলিং স্টেশনের ক্যাশিয়ার  ইকবাল হোসেন (২৬) হত্যার ঘটনায় জড়িত মূল নায়ক রতনকে গাজীপুরের মৌচাক এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) বগুড়ার ইনচার্জ ইকবাল বাহার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতরাত রাত ৮ টার দিকে তাকে ওই এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রতন স্বীকার করে যে, শতাব্দী ফিলিং স্টেশনে তেল পাম্প থেকে তেল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে রতন ইকবালকে হত্যা করে। রতন আরও স্বীকার করে যে, সে এবং ইকবাল রাতের শিফটে কাজ করতো।

ইকবাল পাম্প থেকে প্রতিদিনই তেল চুরি করে বিক্রি করতো। আর এই তেল চুরির করতে গিয়ে ইকবাল মালিকের কাছে ধরাও পড়েছিল। কিন্তু দোষ না করেও তেল  চুরির অপবাদ তাকেই দিয়েছিল ইকবাল। মালিক তাকে ভুল বুঝেছিলেন। এ ঘটনায় পাম্পের মালিক তাকে চড় মেরেছিলেন। এতে সে অপমানিত হয়। আর এতেই তার মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
সে ইকবালকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী সে শনিবার রাতে ইকবালকে হাতুরি দিয়ে হত্যা করে পালিয়েছিল। ধৃত রতন শাজাহানপুরের নিশ্চিন্তপুরের চাঁন মিয়ার ছেলে। স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল শনিবার রাতে ইকবাল ও রতন শহরের দত্তবাড়িস্থ শতাব্দী ফিলিং স্টেশনে রাতের শিফটে কাজ করছিলেন। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে দিনের শিফটের কর্মচারীরা এসে ইকবালকে ফিলিং স্টেশনের অফিসের ক্যাশ টেবিলের ওপর রক্তাক্ত ও মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
পরে তারা খবরটি শতাব্দী ফিলিং স্টেশনের মালিককে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে এসে থানায় বিষয়টি জানান। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেয়। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১ টার পর যেকোন সময় এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত ইকবাল সিরাজগঞ্জের পিপুলবাড়িয়া এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে।
তবে ইকবাল শহরের কাটনারপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজন ইকবালের সহকর্মী রতন পলাতক রয়েছে। তার বাড়ি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামে। বগুড়া সদর থানার ওসি হাসান বাসির বলেন, তারা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ইকবালের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। ইকবালকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।
হত্যাকান্ডের পর তার রক্তাক্ত মরদেহ ফিলিং স্টেশনের অফিসের কক্ষে টেবিলের উপরেই ছিল। ওই রাতে ইকবাল ও তার সহকর্মী রতন এক সাথেই থাকার কথা ছিল। কিন্তু রতন পালিয়ে যায়। তবে ফিলিং স্টেশনের টাকাপয়সা খোয়া গেছে কি না এ ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আজ রোববার রাত ৮ টা পর্যন্ত থানায় এ ব্যাপারে কোন মামলা হয়নি। স্বজনরা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

Check Also

কাহালুর তিনদীঘি উচ্চ বিদ্যালয়ের মেইন গেট নির্মাণ কাজের নাম ফলকের উদ্বোধন

বগুড়া সংবাদ : রোববার দুপুরে বগুড়ার কাহালুর তিনদীঘি উচ্চ বিদ্যালয়ের বাস্তবায়নে মেইন গেটের ভিত্তি প্রস্থর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *