জানাযায়, বিদ্যালয়ে আগে প্রসস্থ মাঠ ছিলো এবং মাঠের পার্শ্বে দিয়ে চলাচলের রাস্তা ছিলো। সাবেক সভাপতি আফজাল থাকা অবস্থায় স্কুলের বুক চিরে কৌশলে রাস্তা ও প্রাচীর নির্মাণ করে বিদ্যালয়টিকে গোয়াল ঘড়ে পরিণত করছে। এমতাবস্থায় বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী ভর্তি হতে চায়না। এতে করে বিদ্যালয়টির শিক্ষার পরিবেশ ব্যহত হচ্ছে।
স্থানীয় গ্রামবাসীদের দাবি বিদ্যালয়ের বুক চিরে তৈরীকৃত রাস্তা ও প্রাচীর অপসরণ করে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা।
বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, আগে আমরা এই মাঠে ফুটবল, ক্রিকেটসহ বিভিন্ন খেলাধুলা করতাম। এখন মাঠ এত ছোট হয়ে গেছে যে ঠিকমতো খেলাধুলা করা যায়না। খেলার পরিবেশ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে।
অভিভাবকরাও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, খেলাধুলা শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য অপরিহার্য। মাঠ সংকুচিত হওয়ায় শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, যা তাদের ভবিষ্যৎ বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী জামাল হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের বুক চিরে রাস্তা নির্মাণ একটি অবিবেচনাপ্রসূত কাজ। এর ফলে শুধু শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হচ্ছে না, বরং বিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য ও সৌন্দর্যও বিনষ্ট হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ দ্রুত এ এই সমস্যা সমাধান করার জন্য জোর দাবি জানান।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাহারুল ইসলাম বলেন বুধবার আমারা মিটিং ডেকেছি সেখানেই সিন্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, এ প্রাচীর নির্মান করা কোনভাবে যৌক্তিক হয়েছে বলে আমি মনেকরি না। আমি যতদ্রুত সম্ভব স্কুলের শিক্ষক, কর্মচারী, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মতামতের ভিত্তিতে একটা সুন্দর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রাচীরটি অপসারণ করবো, যাতে মাঠের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা যায় এবং শিক্ষার্থীদের মানষিক বিকাশের জন্য খেলাধুলার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা যায়।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।