
বগুড়া সংবাদ : বিএনপির স্থাীয় কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, সবার অংশগ্রহণে সবার ন্যায্য আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে সবার জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক বৈষম্যহীন গণমুখী উন্নয়ন মুখী, একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার ইচ্ছা নিয়ে কাজ করছে বিএনপি। সেরকম একটি সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা স্বপ্ন আছে বিএনপি। সে লক্ষ্যে ১৫ বছর ধরে ভেঙে ফেলা এদেশের সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সাংবিধানিক, প্রতিষ্ঠান ভেঙে ফেলা হয়েছে, সেই ভেঙে ফেলা প্রতিষ্ঠানগুলি মেরামতের লক্ষ্যে বিএনপি ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছে। তরুণরা দেশের ইতিবাচক পরিবর্তন ও কল্যাণ চান। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বলতেন সবার জন্য গণতন্ত্র সবার জন্য উন্নয়ন। কিন্তু আমরা দেখলাম এই দেশেই উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু সবার জন্য হয়নি। তারা বলেছে গণতন্ত্র হয়েছে কিন্তু সবাই সেই গণতন্ত্রের অংশ হতে পারেনি। বিএনপি সবার জন্য উন্নয়ন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়।কৃষকদের জন্য বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় বীজ অধ্যাদেশ ১৯৭৭ সালে জারি হয়েছে এবং সেটি করেছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম।এই আইনের ফলেই এদেশে কৃষক খোলা বাজারে ভেজাল এবং নিম্নমানের বীজ কেনা থেকে রক্ষা পেয়েছে। সরকারি এবং বেসরকারিভাবে বীজ উৎপাদন বীজ সংরক্ষণ এবং বীজ বিতরণের কাজ শুরু করেছিল। বহুমুখী ফসল উৎপাদনের জন্য বিএনপি সরকার বাংলাদেশ এগ্রিকাল রিচার্জ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছিল। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন নতুন রকম শস্য উৎপাদনে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। অর্থাৎ বীজ শস্য উৎপাদনে ক্ষেত্রে বিএনপির অবদান আছে। কৃষি সংস্কার বিএনপির হাত ধরে এসেছে কৃষি উপকরণ উৎপাদন আমদানি এবং বিতরণ সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে সেজ, শেষ যন্ত্র এইসব আমদানি এবং বিতরণ বিএনপি সরকারের মাধ্যমে হয়েছে। তিনি শুক্রবার নওদাপাড়া হোটেল মমইনে কনফারেন্স অডিটোরিয়ামে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের সমন্বয়ে কৃষি উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা ও নাগরিক সমস্য নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে একথা বলেন। নজরুল ইসলাম খান বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিএডিসি এবং কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে পাশাপাশি বেসরকারি ক্ষাত সহযোগিতা সহযোগিতা করেছিল।উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য যা কিছু করার সেটা শহীদ জিয়ার হাতেই হয়েছে। এই উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য যে সার উৎপাদন সেটা করার জন্য স্বাধীন বাংলাদেশে সরকারের অর্থে সার কারখানার স্থাপন করেছেন বিএনপি’র সরকার শহীদ জিয়ার আমলে আশুগঞ্জ সার কারখানা।খাদ্য নিরাপত্তার জন্য এবং শস্য সংগ্রহ অভিযান এটাও বিএনপির সময় শুরু হয়। বিএনপির সময় নতুন নতুন খাদ্য গুদাম তৈরি হয়েছিল। সরাসরি ধান এবং চাল কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করা এবং সেগুলো সংরক্ষণ করা। সরকারের সহযোগিতায় রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় বাম্পার ফলন হয়েছে এবং বাংলাদেশ চাল রপ্তানি করতে পেরেছিল। আপনার স্বেচ্ছাশ্রমে খাল খননে অনেক সমালোচনা হয়েছে, সে সময় সরকারিভাবে স্লোগান ছিল খাল কাটা হলে সারা দূর হবে বন্যা খরা। হল নদী খনন করে বন্যার সময় পানি সংরক্ষণ করা গেলে শুষ্ক মৌসুমে সেখান থেকে পানি সেচ করা যায়। এটা শুধু কৃষি উন্নয়ন না এটা পরিবেশ রক্ষাতেও ভূমিকা রাখে। শস্য গুদামের ঋণ কর্মসূচি সেটাও বিএনপি করেছিল। বিনা সুদে লোন দেওয়া হয়েছে, ছোট ছোট গুদাম করে সেখানে আপনারা খাদ্যশস্য মজুদ করেন। ১০০ কোটি টাকার বিশেষ কৃষি ঋণ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল যাতে উচ্চ ফলনশীল শস্য উৎপাদনে উদ্যোগে নেওয়া হয়। আত্মকর্মসস্থান কর্মসূচি কৃষিজিবী ও গ্রাম অঞ্চলের মানুষের জন্য বাংলাদেশের ইতিহাসে নারী এবং পুরুষের জন্য নারী এবং শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, যুব মন্ত্রণালয় এবং জনশক্তি মন্ত্রণালয় বিএনপির আমলে তৈরি হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় এসব হয়েছে বিএনপির আমলে। এই কাজগুলি বিএনপির ইতিহাসের অংশ। নাজরুল ইসলাম আরোও বলেন, ১৯৮০ সালের দিনাজপুরের গম গবেষণা কেন্দ্র করা হয়েছিল। বাংলাদেশের ইতিহাসে গম উৎপাদনের সবচাইতে বড় অংশ। পরিবেশে কথা বলতে গিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর উপকূলীয় অঞ্চলে সবুজ বিষ্টনি গড়ার যে প্রকল্প দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিয়েছিল। এত বড় বনায়ন প্রক্রিয়া স্বাধীন বাংলাদেশ আর হয়নি। পটুয়াখালী, বরগুনা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, লক্ষিপুর, ফেনী,নোয়াখালী, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরিশাল, ভোলাকেও এখানে যুক্ত করা হয়েছে। ৩০লাখ হেক্টর জমিতে বনায়ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল।১৪০০ কিলোমিটার বনায়ন হয়েছিল শুধু উপকূলীয় বাধে, এর পাশাপাশি রেলের অধীনে বিশ কিলোমিটার, সরকারি প্রকৌশল বিভাগের অধীনে ২৮০ কিলোমিটার, রোডস এন্ড হাইওয়ে সড়কের পাশে ৪১০ কিলোমিটার এবং গ্রাম অঞ্চলের ছোট ছোট রাস্তার পাশে চার হাজার কিলোমিটার বনায়ন এই প্রকল্পের আওতায় হয়েছে। দেশের নবায়নের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষায় এত বড় প্রকল্প আর কেউ হাতে নেয়নি। ১৯৮০ সালে শহীদ জিয়ার বগুড়ায় ১২০ একর জমির উপর পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর নিজস্ব ভবন করা হয়েছিল। গ্রামের সাধারণ মানুষের জীবন মান উন্নয়ন খুদা এবং দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এই প্রকল্প দেওয়া হয়েছিল। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিনের সঞ্চালনায় সেমিনারে আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন চেয়ারম্যান জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম ও শিক্ষক নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ববি হাজ্জাজ, স্ট্র্যাটেজিক এনালিস্ট, সিডনি ওয়াটার, অস্ট্রেলিয়া ডঃ ফ্যাসাল কবীর শুভ, সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী কাজী জেসিন, আইবিএ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ডঃ রিদওয়ানুল হক, এইচ আর বিশেষজ্ঞ শারমিন সুলতান জয়া, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী অধ্যাপক জুলকারিন জাহাঙ্গীর এবং ভার্চুয়ালি যুক্ত হন আবহাওয়া ডট কমের প্রতিষ্ঠাতা ও গবেষক সাসকা চোয়ান বিশ্ববিদ্যালয় কানাডা, মোস্তফা কামাল পলাশ। সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক মেয়র এড একে এম মাহবুবুর রহমান, সাবেক এমপি মোঃ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, পল্লী উন্নয়ন সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহিন সওকত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুল রহমান চন্দন, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াইহিয়া, জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি মোশারফ হোসেন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডঃ মাঈনুল হাসান সাদিক, রংপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি কাজী রফিকুল ইসলাম, আলী আজগর তালুকদার হেনা, সাবেক এমপি জিএম সিরাজ, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আহসানুল তৈয়ব জাকির, সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ উন নবী সালাম, কেএম খায়রুল বাশার, সাবেক এমপি রফিকুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান, জেলা স্বেচ্ছসেবকদলের সভাপতি সরকার মুকুল, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম শুভ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান সরকার, সাধারণ সম্পাদক এম আর হাসান পলাশ, শহর যুবদলের সভাপতি আহসান হাবিব মমি, সাধারণ সম্পাদক আদিল শাহরিয়ার গোর্কী, শহর ছাত্রদলে সভাপতি এসএম রাঙ্গা, সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান রিমন।