
বগুড়া সংবাদ :বগুড়ায় দু পা হারানো প্রতিবন্ধী হাসি খাতুন তার পৈত্রিক বসত জায়গা ও জীবন রক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বাবার প্রাপ্ত ১০ শতক জায়গা স্থানীয় সন্ত্রাসীরা দখলে রেখে বিক্রির পায়তারা করছে এবং তাকে বিভিন্ন ভাবে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে আসছে বলে বুধবার দুপুরে বগুড়া প্রেস ক্লাবে অভিযোগ করেন। হাসি খাতুন ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তা হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন এবং নারীদের বিভিন্ন ধরনের হাতের কাজ শিখান। সেই প্রতিবন্ধী নারী সন্ত্রাসীদের ভয়ে পালিয়ে অন্যত্র অপরের বাসায় বসবাস করে আসছেন। প্রতিবন্ধী হাসি খাতুন লিখিত এক বক্তব্যে বলেন, আমি শারীরিক প্রতিবন্ধী এক নারী। নিজে একা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারি না। কিন্তু আজ আমি বড় অসহায় হয়ে সাংবাদিকদের সামনে হাজির হয়েছি। আমার দু পা না থাকায় চলাফেরায় চরম সমস্যা হয়, তারপরও নারীদের ভাগ্যের উন্নয়নে কাজ করে আসছি। আমি নিজে বহু নারীদের কর্মসংস্থান করেছি। আর আমার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ১০ শতাংশ বসত জায়গা দখলে নেওয়ার চেষ্টা ও আমাকে হত্যার হুমকি প্রদান করে আসছে স্থানীয় চিহ্নিত কিছু সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমি নিজের বাবার ভিটেতে থাকতে না পেরে অন্যত্র অপরের বাড়িতে একা বসবাস করছি। সন্ত্রাসীদের জন্য আমি নিরাপত্তা হীনতা ও দুশ্চিন্তায় জীবন যাপন করছি। বর্তমানে সরকার অসহায় দরিদ্র মানুষদের জমি দিয়ে বড়ি করে দিচ্ছে। আমি সরকারের কাছে বড়ি চাই না, আমি জমি রক্ষার জন্য জেলা প্রশাসন, ভূমি অফিস ও সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেছি। এখন সন্ত্রাসীদের আমার জায়গায় যেতে পারছি না। স্থানীয় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সরকারের নিকট আমার আকুল আবেদন আমার পৈত্রিক বসত জায়গা সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা করে দেন। জমি ফিরে পেলে সেখানে কিছু দিয়ে বাড়ি করে কোন দোকানপাট করে জীবন-যাপন করতে পারব।
জমি বিক্রয় করিবে সেজন্য রোজ দিন লোক আসতেছে। আমার কাছে ও আসে কেউ আমাকে ভয় দেখায় হুমকি দেয়। গ্রামে কোন শালিস ও মিমাংসা হয় নাই। কোর্টে কোন জজের সামনেও কোন মিমাংসা হয় নাই, অতএব কেউ এই জমি নিবেন না। কোর্টে দুটি কেস আছে কেস নং ৬৯/২০২১ কেস নং ১৮/২০২৪। বিবাদিদের সবকিছু জাল। জমি গারামারা মৌজা, জে এল নং ১১৭, রহমান নগর, বগুড়া।
সর্ব সাধারণের জ্ঞাতার্থে নোটিশ নোটিশ
এতদ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, জেলা বগুড়ার সদর থানার অন্তর্গত বগুড়া পৌরসভার অধীন গাড়ামারা মৌজার জে,এল নং-১১৭, রোসাঃ নং-১৬২, ১৬৭ চৌহদ্দি খতিয়ান নং-১০০ হতে ৯৯, ১০৮ তৌজি নং-১ ভুক্ত ৫২৯ দাগে ১০ শতক সম্পত্তি যাহার পশ্চিমে সড়ক ও জনপদ বিভাগ, সিটি ক্লিনিকের পশ্চিম পার্শ্বে, উত্তর পার্শ্বে রাস্তা। উল্লিখিত সম্পত্তিটি রহমান নগর নিবাসী অহিম উদ্দিনের পুত্র আফছার আলী মোল্লার স্বত্ব দখলীয় সম্পত্তি ছিল এবং উক্ত আফছার আলী মোল্লা ০৭/০১/১৯৮১ তারিখে বগুড়া সদর সার্কেল অফিসার রাজস্ব কর্তৃক ১৭৪১ (৯-১)৮০-৮১ খারিজী কেস মূলে খারিজ করিয়া লইয়া যথারীতি খাজনাদী পরিশোধ করিয়া আসিতে থাকা অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করিলে জনৈক মোঃ ছাইফুল আলম (সূর্য), পিতা মরহুম আজিজার রহমান, সাং-রহমান নগর, খানা ও জেলা-বগুড়া এবং তার পুত্র মোঃ ফারিয়াল ফয়সাল বগুড়া সদর থানার সম্পত্তি শাজাহানপুরে রেজিস্ট্রি দেখাইয়া ১৫৬৮ নং আমমোক্তার ও ৫৭৫০ নং বিক্রয়ের কোবলা দলিল দেখাইয়া উল্লিখিত দুইটি ভুয়া দলিল মূলে তপশীল বর্ণিত সাম্পত্তি তাদের নামে খারিজ করিয়া লইলে উক্ত খারিজ বাতিলের জন্য আফছার আলী মোল্লার কন্যা হাসি খাতুন জেলা বগুড়া সদর ভূমি অফিসে ৩৬ (XIII)/২০১৯-২০২০ নং রিভিউ মামলা দায়ের করিয়াছে। যাহা বর্তমানে বিচারাধীন আছে। তপশীল সম্পত্তি বিষয়ে প্রকৃত সত্য গোপন করিয়া উক্ত মোঃ ছাইফুল ইসলাম (সূর্য) ও মোঃ ফারিয়াল ফয়সাল তপশীল সম্পত্তি বিক্রয়ের অপচেষ্টা করিতেছে। তৎপ্রেক্ষিতে অত্র নোটিশ দ্বারা সর্বসাধারণকে অবগত করানো যাচ্ছে যে, তপশীল সম্পত্তি ক্রয়ের জন্য কেহ চুক্তিবদ্ধ হইলে তাহা বে-আইনী হবে এবং সম্পত্তি ক্রয়ের পূর্বে নোটিশ দাতার সাথে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জানার জন্য জানানো হইল।
তপশীল সম্পত্তি
জেলা বগুড়া সদর থানার অন্তর্গত বগুড়া পৌরসভার অধীন গাড়ামারা মৌজার জে, এল নং-১১৭, রে সাঃ নং-১৬২, ১৬৭ চৌহদ্দি খতিয়ান নং-১০০, হতে ৯৯, ১০৮, তৌজি নং-১ ভুক্ত ৫২৯ দাগে ১০ শতক