বগুড়া সংবাদ : রোববার থেকে দেশ ব্যাপি শুরু হয়েছে মাধ্যমিক স্কুলের বার্ষিক পরিক্ষা। নেই ঝর-বৃষ্টি বা যানজট তবুও নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট পর শুরু করা হয়েছে বিহিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল দশটা বাজার ৩০ মিনিট আগেই ছাত্র ছাত্রীরা স্কুলে উপস্থিত হয়ে লাইব্রেরীর সামনে ভীড় জমিয়েছে এবং বেশ কয়েক জন অবিভাবগও উপস্থিত হয়েছে। কিন্তু খুলে দেওয়া হয়নি পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত কক্ষগুলি। পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট আগে পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত কক্ষগুলি খুলে দেওয়া এবং খাতা দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা মানা হয়নি বিহিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে। তখন সময় ৯ টা পঞ্চাশ মিনিট কন্তিু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেন পরিক্ষা আরম্ভ হচ্ছে না এমন প্রশ্নের উত্তরে উপস্থিত সহকারি প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস জানান, মাত্র কয়েক মিনিট বাঁকি আছে এখনো প্রধান শিক্ষক আসেনি উনি না আসলে আমিতো পরীক্ষা নিতে পারি না। উপস্থিত একাধিক অবিভাবক ক্ষোভ প্রকাল করে জানান ১০ টা পার হতে চলেছে এখনো পরীক্ষার হল খুলে দেয়নি, খাতা দেয়নি, কিছু আগে দেখলাম হেড মাষ্টার আসেনি তাহলে খাতা দিবে কখন পরীক্ষা শুরু হবে কখন। আপনারা কেন এসেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে শফি উদ্দিন নামের একজন অবিভাবক বলেন পরীক্ষার ফিস বেশী চাওয়ায় এত দিন পরীক্ষার ফিস দিতে পারি নাই তাই আজকে দিতে আসছি কিন্ত কেউ নিতে চাচ্ছে না। শহিদুল ইসলাম নামের আরও একজন বলেন, আমার দুই সন্তান যত টাকা চাচ্ছে আমি ভ্যান চালক এত টাকা কি ভাবে দিবো, আশেপাশের স্কুলের চাইতে অনেক বেশি আমি পাঁচ শত টাকা এনেছি। অভিভাবকদের ভীড় দেখে একজন শিক্ষিকা বিরক্তির শুরে বলেন, এত দিন অবিভাবকের খোঁজ ছিলো না এখন ফি কমানোর জন্য এসেছে। এমন বিশৃংক্ষা পরিবেশ দেখে পাশ থেকে বিহিগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সহযোগীতায় ১০টা ১৫ মিনিটে পরীক্ষা আরম্ভ হয়। প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আজকে প্রথম দিনতো একটু দেরি হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তৌফিক আজিজ বলেন, বিলম্বে পরিক্ষা শুরুর বিষয়ে আমি অবগত নই, আমাকে কেউ জানায়নি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।