বগুড়া সংবাদ :আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা। বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথা স্কয়ারের সব কটি সড়কে রিকশা-অটোরিকশা, ইজিবাইক, যাত্রীবাহী বাস আর ব্যক্তিগত গাড়ির বিশাল সারি। সাতমাথাকেন্দ্রিক সব কটি সড়ক ছিল যানজটে স্থবির। ২০ মিনিটেও নড়ছিল না গাড়ির চাকা। প্রখর রোদে যানজটে আটকে থেকে পথচারী ও যাত্রীরা হন নাকাল। তারও আগে কোটা বাতিল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের শাটডাউন কর্মসূচির আগে– পরে উত্তাল ছিল বগুড়া। কার্যত ১৬ জুলাই থেকে অচল ছিল শহর। সড়কগুলো ছিল ফাঁকা–জনশূন্য। শহরের দোকানপাট, বিপণিবিতানও ছিল বন্ধ। শাটডাউন ও কারফিউ পরিস্থিতিতে টানা আট দিন ঘরে বন্দি থাকার পর গতকাল খুলে দেওয়া হয় অফিস-আদালত, ব্যাংক ও বিমা প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়। সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত কারফিউও শিথিল ছিল। এতে সকাল নয়টার পর থেকেই শহরে মানুষের ঢল নামে। সড়কে বেড়ে যায় যানবাহনের চাপ।
এ ছাড়া যানজটে স্থবির ছিল সূত্রাপুরের ঘোড়াপট্টি মোড়সহ সাতমাথায় সবগুলো সড়কের মোহনা। একই অবস্থা ছিল কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, থানা মোড়, ঝাউতলা, বড়গোলা, দত্তবাড়ী ও কালীতলা এলাকা শহরের স্টেশন সড়ক ।