বগুড়া সংবাদ:পৈত্রিক জমি রক্ষার দাবিতে শুক্রবার বিকেল বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন শাজাহানপুর উপজেলার সাজাপুর দাড়িকামারিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ সেলিম রেজা। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমি শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিরা ইউনিয়ন পরিষদের নিকটে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের পূর্ব পাশের পূর্ব পুরুষের ২১ শতাংশ নিয়ে বন্টন মামলা চলমান এবং এই জমির ওপর হাইকোর্টের ৬ মাসের এবং বগুড়া এডিএম কোর্টের ১৪৪ / ১৪৫ ধারা এবং পুলিশের জারি করা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও স্থিতাবস্থা থাকা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষ জোরপূর্বক কোটি টাকা মূল্যের তিন শতাংশ জমির উপর রাতের আঁধারে বহুতল মার্কেট ভবন নির্মান কাজ করে চলছে। আমরা এই অবৈধ নির্মাণ কাজ বন্ধের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে শাজাহানপুর থানায় আমার পিতা গত ১১-১২- ২৪ ইং তারিখে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে ১৫-১২-২৪ ইং তারিখের আরেকটি লিখিত আবেদনে বিবাদমান ওই জমির বন্টন মামলার স্থানীয় আদালতের রায়ের আদেশের অসম্মতিতে আমার পিতা মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ৫৮৩৫/২০২৪ সিভিল রিভিশন আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে মাননীয় আদালত কর্তৃক উল্লেখিত স্থানে ৬ মাসের জন্য স্থিতাবস্থার যে আদেশ দেন সেই আদেশের কপি শাজাহানপুর থানার ওসির কাছে হস্তান্তর করেন। আমার পিতার ১৫ ডিসেম্বরের আবেদনের প্রেক্ষিতে শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল ওয়াদুদ ওই দিনই এস আই রহিমকে দিয়ে বাদী / বিবাদী উভয় পক্ষকে দন্ডবিধি ১৫৪ ধারা মোতাবেক বর্ণিত মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত বিবাদমান জায়গায় স্থিতাবস্থা বজায় রাখার লিখিত নোটিশ জারি করেন। পরে এই ঘটনায় পরে আমি নিজে আমার পিতার পক্ষে প্রার্থক হয়ে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৪/১৪৫ ধারায় (মোকদ্দমা নং ৭৫১ পি/২০২৪ আরেকটি মামলা করলে গত ১৮ ডিসেম্বর বগুড়ার এডিএম কোর্টের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ ইমরুল কায়েসও তার দেওয়া রায়ে সংশ্লিষ্ট স্থানে শান্তি বজায় রাখার নির্দেশনা দেন। তিনি এব্যপারে এসিল্যান্ড শাজাহানপুর এবং শাজাহানপুর থানার ওসিকে লিখিত ভাবে নির্দেশনা দেন। কিন্তু বিবাদি আব্দুল গফুর প্রাং হাইকোর্ট এবং এডিএম কোর্টের বিচারকের রায় এবং পুলিশের নোটিশ উপেক্ষা করে গত ২০ ডিসেম্বর রাতে উল্লেখিত জমিতে মাঝরাতে নির্মানকাজ শুরু করে কলামের ওপর ছাদ ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন করেছে । রাতেই আমাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলেও দখলদারদের বিপুল উপস্থিতি এবং ভীতিকর বডি ল্যাংগুয়েজের কাছে তারা অসহায় বোধ করেন। আমরা এই অবস্থায় বুঝতে পারছিনা দেশে আইনের শাসন আছে কি না? অথবা জনগনের সহায় সম্পদ রক্ষায় পুলিশের আন্তরিকতা বা সাহসের ঘাটতি আছে কি না?”