বগুড়া সংবাদ : বগুড়ায় টিকটকে নাচের ভিডিও প্রচারকে কেন্দ্র করে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর টয়লেটের হাউজে লাশ লুকিয়ে রাখার চাঞ্চল্যকর ঘটনা উদঘাটন করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেপ্তারকৃত আসামি মুকুল মিয়া (৩১), পিতা শাজাহান আলী, মাতা গোলে বেগম। তিনি বগুড়া সদর উপজেলার ৭নং শেখেরকোলা ইউনিয়নের নুড়ুইল মধ্যপাড়ার বাসিন্দা। নিহত গৃহবধূ মারুফা (২৫), পিতা মাহবুব, মাতা বেওলা। তার বাড়ি সদর উপজেলার লাহেড়ীপাড়া ইউনিয়নের নন্দীপাড়া পীরগাছা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ শনিবার রাতে নিহত মারুফার চাচাতো বোনের বিবাহ অনুষ্ঠানে নাচানাচির ভিডিও টিকটকে প্রচার হওয়াকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এ সময় ক্ষুব্ধ স্বামী মুকুল মিয়া স্ত্রী মারুফাকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
হত্যার পর প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে ওই রাতেই নিজ বাড়ির টয়লেটের হাউজে মরদেহ ফেলে দিয়ে হাউজের মুখ সিমেন্ট দিয়ে প্লাস্টার করে দেয় সে। পরে পরিবার ও নিহতের স্বজনদের বিভ্রান্ত করতে স্ত্রী বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে বলে জানায়। এমনকি ঘটনার দুই দিন পর, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে নিজেই বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় স্ত্রী নিখোঁজের একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে।
জিডির ছায়া তদন্তে বগুড়া সদর থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) যৌথভাবে তদন্ত শুরু করে। ডিবির ওসি ইকবাল বাহার ও ইন্সপেক্টর মো. রাজু কামালের নেতৃত্বে একটি চৌকস দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অনুসন্ধান চালায়।
এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা মুকুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক তথ্যের ভিত্তিতে নিজ বাড়ির টয়লেটের হাউজ থেকে নিহত মারুফার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এতে করে পুরো হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটিত হয়।
এ ঘটনায় আসামির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Bogra Sangbad সত্য সন্ধানে আমরা
