বগুড়া সংবাদ : (জাহাঙ্গীর আলম নাকি গাবতলী বগুড়া) বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার মুক্তার বাড়ি থেকে দুই দিনের অভিযানে পুলিশ ৪৪টি ককটেল উদ্ধার করেছে। গত রোববার ককটেল তৈরি করার সময় বিস্ফোরণে কুমিল্লার আতাউর রহমান সেলিম আহত হন। প্রথম দিনে পুলিশ ৫টি ককটেল উদ্ধার করলেও পরবর্তীতে আজ মঙ্গলবার আর্মি বোম স্কোয়াদ ও গাবতলী থানা ওসি সেরাজুর হক নেতৃত্বে অভিযান করে মুক্তার হোসেনের বাড়ি থেকে আরও ৩৯টি ককটেল পাওয়া গেছে; সবগুলো নিষ্ক্রিয় করে বোম ডিসপোজাল ইউনিট।
গত রবিবার ওই বাড়িতে ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণ ঘটে; ঘটনায় কুমিল্লার আতাউর রহমান সেলিম নামের এক ব্যক্তি আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রথম দফায় ৫টি ককটেল উদ্ধার করে এবং তা নিষ্ক্রিয় করে।
মঙ্গলবার পুনরায় অভিযান চালিয়ে একই বাড়ি বাক্সের ভিতরে ২ টি ব্যাগ থেকে আরও ৩৯টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত সব ককটেল বোম বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ফোর ব্যাটালিয়ন জাকির হোসেনের নেতৃত্বে ডিসপোজাল ইউনিটের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে যে, এসব ককটেল আন্তজেলা ডাকাত দলের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় মুক্তার এর নেতৃত্বে তৈরি করা হচ্ছিলো।
সিরাজুল ইসলাম অফিসার জানান ইনচার্জ, গাবতলী মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ককটেলগুলো উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয় করেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ: পুলিশের প্রথম অভিযানের পরে বাড়ির মধ্যে ৩৯টি ককটেলকে অবহেলা করে ফেলা হয়েছিল ফলে পরের দফায় পুনরায় অভিযান চালাতে হয়েছে; এ বিষয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে আক্রোশ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। বোম ডিসপোজাল ইউনিটের মাধ্যমে ককটেলগুলো নিষ্ক্রিয় করা হলেও ঘটনাটি এলাকায় ভীতি উৎপন্ন করেছে। পুলিশকে দ্রুততর অনুসন্ধান করে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
Bogra Sangbad সত্য সন্ধানে আমরা
