বগুড়া সংবাদ: পৈতৃক সম্মত্তি রক্ষার দাবীতে বগুড়া শহরের পিটিআই লেন এর বাসিন্দা মোঃ হাফিজার রহমান (টুলু) এবং তার পরিবারের সদস্যরা মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাফিজার রহমান (টুলু) বলেন, “আমি এক অসহায় পঙ্গু, চোখ বিহীন মানুষ। দীর্ঘদিন দেশের স্বৈরাচারী দোসরদের রক্ত চক্ষু ও ক্ষমতার দাপটে আমাদের পৈতিক সম্পত্তি রক্ষা করতে আমার এই পরিবার ব্যর্থ হয়েছি শুধুমাত্র প্রাণ রক্ষার ভয়ে। ছাত্র
জনতার আন্দোলনে বাংলাদেশ যখন নতুন সূর্যের নতুন বাংলাদেশ অর্জিত হয়েছে সেই সাথে স্বৈরাচার বিদায় হয়েছে। তখন ভেবেছিলাম এবার আমরা আমাদের ন্যায্য জমি ভিটা ফেরত পাবো। কিন্তু অতি দুঃখের বিষয় যে দেশ আজ স্বাধীন হয়েছে
সন্ত্রাসীরাও আত্তগোপনে। তারপরও কিছু বিএনপির নামধারী নেতা সাজিয়ে আবারো আমাদের সম্পত্তি দখল করার চেষ্টা করছে। আজ আমরা এই নামধারী ব্যক্তিদের মুখোস উম্মোচন করিবো। আমরা (১) মোঃ আনিছার রহমান (নিলু), (২) মো
আমিনুর রহমান (রাজা), (৩) মোঃ মতিয়ার রহমান (মতি), (৪) রানী বেগম, (৫) বেদেনা খাতুন, (৬) রাহাত আহম্মেদ (অমিত)। আমাদের পি.টি, আই মোড়ের একটি জায়গার উপর ২০১৯ সাল থেকে জেলা বগুড়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে
৩৬৩/২০১৯ নং বন্টন মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল মেশিনারী মার্চেন্ট এসোসিয়েশন (বামমা) বগুড়া জেলা শাখা এর সাধারণ সম্পাদক ও বিল্ডার্স মোঃ রাজেদুর রহমান (রাজু), রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের
অঙ্গ সহযোগি সংগঠন যুবলীগ নেতা ও বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল মেশিনারী মার্চেন্ট এসোসিয়েশন (বামমা) বগুড়া জেলা শাখা এর সভাপতি, ৯ নং ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর/প্যানেল মেয়র-২ মোঃ আলহাজ শেখ এবং সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা
১০ নং ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর মোঃ আরিফুর রহমান (আরিফ) এদের ক্ষমতা বলে প্রভাব খাটিয়ে আমাদের সম্পত্তি অবৈধভাবে গ্রাস করার অপচেষ্টার অংশ হিসেবে কিছু নকল দলিলাদি সৃষ্টি কারিয়াছে যাহা রেজিষ্ট্রিকৃত চুক্তি দলিল
নং-৭১৩৩/২৪ (চুক্তি) তাং ২৭/০৮/২০২৪ ইং এবং আমমোক্তার দলিল নং-৭১৩৪/২৪ তাং ২৭/০৮/২০২৪ইং যাহার দাতা (১) তাহমিনা, (২) জিন্নাতুল, (৩) জোবায়ের, (৪) অহিদুজ্জামান, (৫) মনিরা আক্তার, (৬) ওয়াসিফ আহম্মেদ এবং গৃহীতা বাংলাদেশ
এগ্রিকালচারাল মেশিনারী মার্চেন্ট এসোসিয়েশন (বামমা) বগুড়া জেলা শাখা এর সাধারণ সম্পাদক ও বিল্ডার্স মোঃ রাজেদুর রহমান (রাজু), সম্পত্তির তফশিল মৌজাঃ- গাড়ামারা, দাগ নংঃ-২৯ (সাবেক), ৭৫ (নতুন), জমির পরিমাণঃ- ১৪.৩৫ শতক মর্মে প্রকাশ পাওয়া গেছে। বিগত কিছুদিন আগে বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল মেশিনারী মার্চেন্ট এসোসিয়েশন (বামমা) বগুড়া জেলা শাখা এর সাধারণ সম্পাদক ও বিল্ডাস মোঃ রাজেদুর রহমান (রাজু) ঐ জায়গা মাপ যোগ করে এবং ঐ জায়গার উপর যে দোকান ঘর ভাড়া দেওয়া আছে তাদের সবাইকে মৌখিকভাবে জানায় যে আগামি ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে তারা স্থাপনা নিমার্ণ কাজ শুরু করবে এই মর্মে ভাড়াটিয়াদের দোকান ঘরগুলো খালি করে দিতে বলে। এখন আমার প্রশ্ন জেলা বগুড়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ৩৬৩/২০১৯ নং বন্টন মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় কোন ক্ষমতাবলে বিচারাধীন মামলার সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করিয়া নিতে পারে। সম্পত্তি হস্তান্তর আইন এর ৫২ ধারায় আছে যে সিভিল মামলা চলমান থাকা অবস্থায় ঐ সম্পত্তি উপর কোন রেজিস্ট্রি দলিল, হস্তান্তর, বহুতল ভবন নির্মাণের চুক্তি আইনগত অবৈধ। ইতি মধ্যেই আমরা মামলা পরিচালনা করতে (১) মোঃ ফয়সাল আখতার জনি, (২) মোঃ জুম্মান আলী শেখ এই দুইজনকে আমমোক্তার নিযুক্ত করি। বর্তমানে বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল মেশিনারী মার্চেন্ট এসোসিয়েশন (বামমা) বগুড়া জেলা শাখা এর সাধারণ সম্পাদক ও বিল্ডার্স মোঃ রাজেদুর রহমান (রাজু) বিএনপির প্রভাবশালী নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে মামলা উঠিয়ে নিতে বাদীগণ সহ আমমোক্তার গণকে বিভিন্ন ভাবে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। আরও উল্লেখ থাকে যে আমাদের বিবাদীগণ একইভাবে আমমোক্তারগণ সহ আমাদের বাদী গণকে মামলা উঠিয়ে নিতে এবং প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। আমরা অসহায় হয়ে আমাদের নিরাপত্তার জন্য আমরা সদর থানায় একটি জিডি করি যাহার নং-৩৩৮। এখন আমার বগুড়া জেলা প্রশাসক, বগুড়া জেলা পুলিশ, সাংবাদিকবৃন্দ ও বগুড়াবাসীর কাছে প্রশ্ন এই যে, একটি জায়গার উপর সিভিল কোর্টে বন্টন মামলা বিচরাধীন থাকা অবস্থায় কিভাবে বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল মেশিনারী মার্চেন্ট এসোসিয়েশন (বামমা) বগুড়া জেলা শাখা এর সাধারণ সম্পাদক ও বিল্ডার্স মোঃ রাজেদুর রহমান (রাজু) তার গংরা বহুতল ভবন নিমার্ণ করতে পারে? পরিশেষে বগুড়া জেলা প্রশাসক, বগুড়া জেলা পুলিশ প্রশাসন, সাংবাদিকবৃন্দ ও বগুড়াবাসীর কাছে নিবেদন আমাদের পৈতিক সম্পত্তি যেন এই ভুমি দস্যুরা দখল করিতে না পারে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করিতে সহযোগীতা কামনা করিতেছি।”