বগুড়া সংবাদ : দুপচাঁচিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে ১০জন শিক্ষক-কর্মচারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। গত ২৪নভেম্বর রোববার তারা এ লিখিত অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, দুপচাঁচিয়া মুক্তিযোদ্ধা টেকলিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠালগ্ন ২০১৭ সাল থেকে অদ্যবধি কর্মরত রয়েছেন। প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পূর্বে পরিচালনা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজ্জাত আলী ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নান্টু কুমার বর্ম্মন সহ প্রতিষ্ঠানটি এমপিও ও সরকারি করণের কথা বলে আমাদের নিকট হতে মোট ২৮ লাখ ৪৩ হাজার টাকা গ্রাহণ করে। এর পর হতে তারা দীর্ঘদিন যাবৎ বিনা বেতনে ও কোন প্রকার সম্মানী ভাতা ছাড়াই বিদ্যালয়টিতে পাঠদান সহ যাবতীয় কর্মকান্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন। স¤প্রতি সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থী শূন্য হয়ে পড়ে। প্রতিষ্ঠানের প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ভোকেশনাল ও কলেজ শাখা সকল শিক্ষক কর্মচারীরা সম্প্রতি জরুরী সভা করে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সকল শিক্ষক কর্মচারী প্রতিষ্ঠানটিতে চাকুরী করবে না বলে সিদ্ধান্ত গ্রগণ করেন। সে মোতাবেক ওই শিক্ষক কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজ্জাত আলীর সাথে স্বাক্ষাৎ করে চাকুরী না করার বিষয়টি জানান এবং তাদের দেয়া টাকা ফেরত চান। এসময় সুজ্জাত আলী তাদেরকে সুমুদয় টাকা ফেরত প্রদানের আশ্বাস প্রদান করে। কিন্তু সুজ্জাত আলী বর্তমানে ওই টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা করে। বর্তমানে কোনো শিক্ষকেরই মোবাইল ফোন রিসিভ না করে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জান্নাত আরা তিথি মুঠোফোনে জানান, আমি জেলায় অবস্থান করছি। এরকম অভিযোগ কেউ দিয়ে থাকলে তা তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা করা হবে।