[caption id="attachment_8721" align="alignnone" width="618"] হাফেজ রকিবুলের সাংবাদিক সম্মেলনের
বিরুদ্ধে পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন[/caption]
বগুড়া সংবাদ :গত ১৬ নভেম্বর বগুড়া প্রেসক্লাবে হাফেজ রকিবুল ইসলামের সাংবাদিক সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন বগুড়া শহরের চকলোকমান এলাকার মৃত সৈয়দ আমজাদ হোসেনের ছেলে মোঃ আতিকুল ইসলাম (সুমন)। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, “আমি একজন প্রথম শ্রেণীর ব্যবসায়ী হিসাবে সরকারকে যথানিয়মে রাজস্বাদি প্রদান করিয়া আসিতেছি। এমতাবস্থায় বিগত ১৬-১১-২০২৪ তারিখে হাফেজ রকিবুল ইসলাম এক ব্যক্তি লিখিত সাংবাদিক সম্মেলণ করে আমাকে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন ব্যাক্তিবর্গের নামের সঙ্গে সংযুক্ত করিয়া আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রান ও জেরবার করিয়াছেন এবং আমার মান সম্মান ও ব্যবসা বাণিজ্যের মান সম্মান ক্ষুন্ন করিয়াছে। আপনি ব্যারিষ্টার আকতার মাহমুদ এর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সুলতানগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ আনয়ন করিয়েছেন। অভিযোগে বলেন উক্ত কর্মকর্তাগন আপনার জমি বিহারী ক্যাম্প করিয়াছে। কিভাবে বিহারী ক্যাম্প হলো কত সাল হতে বিহারী ক্যাম্প প্রতিষ্ঠিত হলো তার কোন ব্যাখ্যা আপনি উপস্থাপন করেননি। আপনার সম্পত্তি নিয়ে কোন উচ্চ আদালত হতে কত নম্বর মোকদ্দমার কত তারিখে রায় পেয়েছেন তাহার সঠিক কোন ব্যাখ্যা প্রদান করেন নাই। আপনি বিগত ০৫ তারিখে কোন মাসের কত সালে আপনার জমি বেদখলের চেষ্টা করিয়াছে এবং সে বিষয়ে আপনি আদালতের স্মরণাপন্ন হয়ে কত নম্বও মামলা আনায়ন করেছেন তার কোন ব্যাখ্যা না দিয়ে মনগড়াভাবে মিথ্যা বর্ণনা করিয়াছেন। এছাড়া আপনি ভূমি অপরাধ আইনে কোন আদালতে কত নম্বর মোকদ্দমা করিয়াছেন তাহার কোন উল্লেখ করেন নাই। আপনি আপনার বক্তব্যে বগুড়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব মোঃ সেলিম বগুড়া জেলার ০২ (দুই) বার সেরা করদাতা এবং প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়িক। আপনি জনাব সেলিমকে ভূমি দস্য হিসাবে আখ্যায়িত করিয়া তাদেরকে অসম্মানিত করেছেন। আমি তায় ছিব্র প্রতিবাদ করছি। সহকারী কমিশনার (ভূমি) একজন বি.সি.এস সরকারী কর্মকর্তা। যিনি দল ও মতের উর্ধে থেকে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের একজন কর্মকর্তা হিসাবে জনসাধারনণের সেবা প্রদান করে থাকেন। তাকেও আপনি রাজনৈকিত ব্যাক্তিত্ব বলিয়া অ্যাখ্যা প্রদান করিয়াছেন। যাহা সম্পূন্ন রূপে আইন বিরোধী। আপনি আইনের একজন বাহক হওয়া স্বত্তেও আইনের ভুল তথ্য প্রদান করিয়া আইনকে অসম্মান করিয়াছেন। আপনার অভিযুক্ত জ্যেত সম্পত্তির আমি একজন করলা গৃহীতা। উক্ত সম্পত্তিতে বিহারীগণের বসবাসের জন্য সরকার তাদেরকে বহু বছর পূর্বেই বিহারী ক্যাম্প স্থাপন করেন এবং সেখানে তাহারা দীর্ঘ ৫৫ বৎসরের উর্দ্ধকাল যাবৎ উক্ত সম্পত্তিতে বাড়ীঘর নির্মাণ করিয়া বসবাস করিতেছে। আমার সি.এস খতিয়ান নং ৮৮ এর রায়ত এবং এমআরআর খতিয়ান নং ৯৩ এর প্রজা সাধারনের ধারাবাহিক ওয়ারিশ প্রজা সাধারণের বংশানুক্রমে বিচারে সঠিকতা যাচাই অন্তে বিক্রয় কবলা দলিলের ধারাবাহিকতা নামজারী খতিয়ানের ধারাবাহিকতা পর্যালোচনা অস্ত্রে জমাখারিজ খাজনা পরিশোধেন রশিদের সঠিক যাচাই যাচাই অন্তে বিগত ইং ১৭/০৫/১৯৫৬ তারিখের ৯০৭১/৫৬,১৮-০৯-১৯৫৬ তারিখের ১৪৩৪/৪৫, ১০-১০ ১৯৮৭ তারিখের ১৭০৪৩/৫৭, ০৭-০২-১৯৬৬ তারিখের ২৮০৮/৬৬, ১১-০২-১৯৭৮ তারিখের ৪১২২/৭৮, ০০-০১-১৯৮৫ তারিখের ৩৫৪/৮৫ ও ৩৪৬/৮৫, ০২-০৬-১৯৮৭ তারিখের ১১৭১১/৮৭, ০১-০৯-১৯৭৭ তারিখের ২১৮৬৫/৭৭, ২৮-০১-১৯৮১ তারিখের ১৪০০/৮১, ২৭-১১-২০০৬ তারিখের ১৮৩১৫/০৬, ১২- ০২-২০০৭ তারিখের ২৬৭০/০৭ দলিলের ধারাবাহিকতায় ও ২৮-০৬-২০০৯ তারিখের ৩৮৮৬(৯-১)০৮-০৯ খারিজ আদেশ মূলে ও ০৩-০১-২০১০ তারিখের ১৪৬৫ (৯-১)০৯-১০ নং খারিজ আদেশ মূলে ও ২-১০-১৯ তারিখের ৮১০৪ নং দলিল মূলে বাদীর কথিতে মতে নালিশী সম্পত্তিতে স্বত্ববান দখল আছেন এবং বর্তমানে জায়ার নামে ১৪৫ ও ৮৫ নং ডিপি খতিয়ান প্রস্তুত আছে। এমতাবস্থায় ব্যারিষ্টার আকতার মাহমুদ নালিশী সম্পত্তি লইয়া জেলা বগুড়ার ১ম সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ৩০০/২৪ অন্য একটি মিথ্যা মোকদ্দমা আনয়ন করিয়া হয়রান ও জেরবার করিয়া আসিতেছেন এবং স্থানীয় বিহারীদের উপরে একাধিক দেওয়ানী ও ফৌজদারী মিথ্যা মোকদ্দমা আনয়ন করিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ হয়রান ও জেরবার করিয়া আসিতেছেন। এখানে উল্লেখ্য যে ব্যারিষ্টার আকতার মাহমুদ এর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেয়ার পূর্বে হাফেজ রফিকুল ইসলাম কি জনাব আকতার মাহমুদের নিকট হতে প্রতিনিধিত করার জন্য সরকারের আইন মেনে এ্যামবাসির মাধ্যমে অনুমতিপত্র পেয়েছেন নাকি অনুমতি ব্যতিরেখে নিজ উদ্যেগে বে-আইনী ও ইচ্ছা- স্বাধীনভাবে সবাইকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে সংবাদ সম্মেলনটি করেছেন যাহা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিক্ষা-নিরিক্ষা করে যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি হাফেজ রকিবুল ইসলাম বিগত ১৬-১১-২০২৪ তারিখের সংবাদ সম্মেলনে যে লিখিত বক্তব্য প্রদান করিয়াছেন তাহা সম্পূর্ণরুপে মিথ্যা, ভূয়া ও যোগসাজসী। উক্ত সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যে আমার মান-সম্মান যে পরিমান ক্ষতি সাধিত হইয়েছে তাহা কোন আর্থিক মূল্যমানে ক্ষতিপূরণযোগ্য নহে। তৎকারনে আমি অদ্যকার প্রতিবাদ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হইয়া ঘোরতর প্রতিবাদ করছি এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।”