বগুড়া সংবাদ : সোনাতলায় প্রাণিসম্পদ অফিসে জনবল সংকট দীর্ঘদিন ধরে। সৃস্ট পদ ১১টির ৭টি শূন্য রয়েছে। কর্মরত মাত্র ৪ জন দিয়ে উপজেলায় বহু প্রাণির চিকিৎসা চলছে জোড়াতালি দিয়ে। এতে কর্মরত ৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে কষ্টের মধ্য দিয়ে অফিসের যাবতীয় কাজ করতে হচ্ছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল সূত্রে যায়, এ অফিসের উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও ভেটেরেনারি সার্জন (ভিএস) পদসহ বিভিন্ন পদে ১১টি পদ সৃষ্ট রয়েছে। এরমধ্যে কর্মরত রয়েছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা,ভেটেরিনারি সার্জন ও উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (সম্প্রসারণ) ২টি পদ। অর্থাৎ মোট ৪টি পদ পূরণ রয়েছে। শূন্য রয়েছে উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (সম্প্রসারণ) ২টি এই মোট ৪টি পদ পূরণ রয়েছে। শূন্য রয়েছে উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (সম্প্রসারণ),উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, কম্পাউন্ডার,অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর,উপজেলা লাইফ স্টোক এসিসটেন্ড ও অফিস সহায়ক। এই মোট ৭টি পদ শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। এ অফিসে নৈশ প্রহরীর পদ সৃষ্ট বা মঞ্জুরী নেই। অথচ পদটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। যখন গরু-বাছুরের কিংবা হাঁস মুরগী,ছাগল ভেড়া ইত্যাদি প্রাণির কোনো রোগ প্রাদুর্ভাব আকার ধারণ করে,তখন কর্মরত ৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রোগাক্রান্ত প্রাণিগুলোর চিকিৎসা সেবা প্রদানে হিমশিম খেতে হয়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নুসরাত জাহান লাকী জানান, শূন্য পদগুলো পূরণ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে একাধিকবার অবগত করা হয়েছে। কিন্তু অদ্যাবধি শূন্য পদগুলি পূরণ হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে কর্মরত ৪ জনকে কাজ করতে হচ্ছে। শূন্য পদগুলো পূরণ হলে একদিকে অফিসে কাজের গতি বাড়বে, অন্যদিকে রোগাক্রান্ত প্রাণির চিকিৎসা সেবা প্রদান সঠিক ভাবে করা সম্ভব হবে। এতে প্রাণিসম্পদের মালিকরা হবে উপকৃত। অফিস সূত্রে আরো জানা যায় ভিটামিন জাতীয় ওষুধ,কৃমিনাশক ওষুধ ও এন্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্দ আসে কম। বরাদ্দের পরিমাণ আরো বাড়ানো প্রয়োজন। যেহেতু সোনাতলায় রয়েছে বহু গরু,ছাগল,মহিষ,ভেড়া,হাঁস,মুরগী,কবুতর ইত্যাদি প্রাণি। এ উপজেলার পার্শ্ববর্তী উপজেলার লোকেরাও তাদের গবাদিপশুর চিকিৎসা সেবা নিতে আসে সোনাতলা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে। জনবল সংকটের কারণে প্রাণিসম্পদ মালিকরা অনেক ক্ষেত্রে পল্লী পশু চিকিৎসকদের সরনাপন্ন হয়ে থাকেন। ভিএস ডা.মোঃ মোস্তফা কামাল জানান ২০১৯ সালের ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন অনুযায়ী পল্লী পশু চিকিৎসকদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের কোনো বৈধতা নেই।