বগুড়া সংবাদ: বগুড়ার কাহালু উপজেলার নারহট্র ইউনিয়নের লহরাপাড়া গ্রামে দুই পক্ষের মারপিটে মহিলা সহ ৯ জন আহত হয়েছে। জানা যায় লহরাপাড়া গ্রামের সাবেক ইউ পির সদস্য হারুনুর রশিদ সহ হায়দার আলী সাথে একই গ্রামের রোস্তম ও বাদলের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত রোববার বিকেলে রোস্তম ও বাদল বহিরাগত ২৪/২৫ জন লোকজন নিয়ে গ্রামে প্রবেশ করে প্রতিপক্ষের লোকজনের উপর হামলা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে।
আহতদের কাহালু হাসপাতাল ও বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে কাহালু থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এ ঘটনায় কাহালু থানা পুলিশ মামলার ৬ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছেন। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন বগুড়া সদরের সূত্রাপুর (পানির ট্যাংকি) এলাকার মৃত আব্দুল মজিদ শেখের পুত্র রতন শেখ (৩৩), গোদারপাড়ার বাজারের বাদল প্রামানিকের পুত্র বিজয় প্রামানিক (২৪), বগুড়া সদরের ইসলামপুর হরিগাড়ীর নুরু ইসলামের পুত্র রাশেদুল ইসলাম (২৯), মিন্টুর পুত্র মোহন বাবু (২২), সোনা মিয়ার পুত্র আলম (২৭) ও শাজাহানপুর উপজেলার নন্দকুলের হেলাল প্রামানিকের পুত্র রাহাত ইসলাম (২৪) কে গ্রেফতার করেছেন থানা পুলিশ।
আহতরা হলেন লহরাপাড়া গ্রামের মৃত আহম্মেদ আলীর পুত্র আলী হোসেন (৩৫), ইদ্রিস আলী পুত্র সেলিম (২৮), সেলিমের স্ত্রী সাথী খাতুন (২২), হায়দার আলীর স্ত্রী সালমা বেগম (৩২), হায়দার আলীর কন্যা হাবিবা (১৯) ও হালিমা (১৫),আজিমের স্ত্রী রুপালী (২৪), একই গ্রামের বাদলের পিতা তছলিম উদ্দিন (৬৫), নজরুল ইসলাম লজুর পুত্র আজম (২০) ও জাহাঙ্গীরের পুত্র রিফাত (২১)।
সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বগুড়ার সহকারি পুলিশ সুপার (নন্দীগ্রাম-সার্কেল) ওমর আলী, কাহালু থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীনুজ্জামান শাহীন। রাতে ওই গ্রামের মৃত আহম্মেদ আলীর পুত্র আজমল হোসেন ১৬ জনকে আসামী করে কাহালু থানায় একটি মামলা দায়ের করন।
কাহালু থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীনুজ্জামান শাহীন জানান, আসামীদেরকে সোমবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।