বগুড়া সংবাদ: বগুড়া উপশহর জামে মসজিদ কমিটি জবর দখলের অভিযোগে শনিবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন বগুড়া হাউজিং এস্টেট কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নান প্রামানিক। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, “দেশের সদাশয় সরকার যখন দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ঠিক সেই সময়ে উপশহরে বসবাসরত শান্তি প্রিয় অভিজাত নাগরিকগণের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবণতি মূলক একটি ঘটনা দেশবাসীর সামনে তুলে ধরার নিমিত্তে আপনাদের দারস্থ হয়েছি। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ অত্র বগুড়া উপশহরে ১৯৯২ খ্রি. সাল হতে বগুড়া হাউজিং এস্টেট কল্যাণ সমিতি নামে একিিট অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন আছে। যার কমিটি নিয়মিত ভাবে ০৩ (তিন) বছর পরপর নির্বাচিত হয়ে আসে। বর্তমান যে কমিটি আছে তার মেয়াদ আগামী জানুয়ারী ২০২৪ মাসে শেষ হবে এবং তারপর যথারিতী নতুন ভোটার তালিকা প্রনয়ণ পূর্বক সংগঠনের গঠনতন্ত্র মোতাবেক নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে ইনশাআল্লাহ । সম্প্রতি অর্থাৎ ১৬/১০/২০২৪খ্রি. তারিখে উপশহরস্থ আরসি টাওয়ারের মালিক জনাব মোঃ রাশেদুর রহমান অত্র সমিতির বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাহেবকে মোবাইলে সামনের শুক্রবার (১৮/১০/২০২৪খ্রি.) তারিখে সমিতির ঘর খুলে দেওয়ার জন্য হুমকি প্রদর্শন করে। উল্লেখ্য মোঃ রাশেদুর রহমান বর্তমান ১৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। উল্লেখ থাকে যে, জনাব মোঃ রাশেদুর রহমান উপশহর জামে মসজিদটি জবর দখলের নিমিত্তে গত ০৪/১০/২০২৪খ্রি. তারিখে কিছু সংখ্যক মুসল্লিকে ডেকেছিলেন। কিন্তু তারা কেউ যাননি। বর্ণিত অবস্থার প্রেক্ষিতে ১৬/১০/২০২৪খ্রি. তারিখ বাদ আছর বগুড়া হাউজিং এস্টেট কল্যাণ সমিতির কমিটির একটি জরুরী সভা আহ্বান করা হয়। কমিটির উপস্থিত সদস্যবৃন্দ বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং রাশেদুর রহমান এর এহেন প্রক্রিয়ার নিন্দা জ্ঞাপন করেন। এরপর গত ১৮/১০/২০২৪খ্রি. আনুমানিক বিকেল ৫.০০ ঘটিকার পর জনাব রাশেদুর রহমান কিছু সংখ্যক লোকজনসহ আমাদের সমিতির ঘরে জবরদখল নেওয়ার উদ্দেশ্যে তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে এবং কিছু সময় অবস্থান করার পর তাদের একটি তালা লাগিয়ে চলে যায়। অফিসে জরুরী কাগজপত্র, নথিপত্র, আসবাবপত্র ও কিছু টাকা মওজুদ ছিল।রাশেদুর রহমানের ইতিপূর্বে কিছু অনিয়ম ও জবর দখল সংক্রান্ত অপকর্মের কিছু তথ্য তুলে ধরছি।
(ক) তার মালিকানাধীন হাউজিং টস্টেটের প্লট নং-সি-১২,১৩,১৪ এর উপর পৌরসভার নিয়মকানুন ভঙ্গ করে বাড়ি নির্মাণ করায় ইতিপূর্বেই তার বাড়ি নির্মাণের নকশা পৌর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাতিল করা হয়েছে। (খ) হাউজিং এস্টেট এলাকায় অবস্থিত বালিকা বিদ্যালয়ে চারটি রাস্তার মধ্যে একটি রাস্তা দখল করে দোতালা বাড়ি নির্মাণ করেছেন। (গ) সরকারি জায়গায় (যার আনুমানিক মূল্য ১৫ কোটি টাকা) কেজি বিদ্যাপীঠ স্থাপন পূর্বক ২০/২৫ বছর যাবত ব্যবসা করে আসছে। (ঘ) উপশহর এলাকায় ২৬ নং রোডের ৯ নং প্লটে অন্যের বরাদ্দকৃত প্লটে অবৈধভাবে সেমি পাকা বড়ি নির্মাণ করে ১৫/১৬ বছর যাবত ভাড়া ভোগ করে আসছিল। যা সম্প্রতী সরকারি ভাবে উচ্ছেদ পূর্বক প্লটের প্রকৃত মালিক জনাব তৌহিদুল ইসলামকে বুঝে দেওয়া হয়েছে। তার এরকম আরও অনেক অপকর্ম রয়েছে। অত্র উপশহর এলাকায় অবসর প্রাপ্ত সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ এবং উচ্চ শ্রেণীর ব্যবসায়ীগণ বসবাস করেন। যাঁরা এহেন প্রক্রিয়াকে সহজভাবে মেনে নিবেন না। ফলে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”