[caption id="attachment_7560" align="alignnone" width="618"] বগুড়ায় জামায়াতের রুকন সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম খান
সরকারের ভেতরে থাকা ফ্যাসিবাদের
দোসরদের অবিলম্বে সরাতে হবে[/caption]
বগুড়া সংবাদ: সরকারের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসরদের অবিলম্বে সরানোর দাবী জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত অন্তর্বর্তী সরকারকে কোন অবস্থাতেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবেনা। সরকারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এখনো ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মা বসে আছে। তারাই নানাভাবে সরকারকে ব্যর্থ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু জনগণ এই সরকারকে ব্যর্থ হতে দিবেনা। সরকারের অনেক উপদেষ্টাও সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন না। দেশবাসী শেখ হাসিনাকে যেভাবে বিদায় করেছে, ঠিক একই ভাবে ষড়যন্ত্রকারীদেরও রুখে দিবে। সরকারের কোন উপদেষ্টা ব্যক্তিগত এজেন্ডা বাস্তবায়নের অপচেষ্টা করলে তাকেও বিদায় নিতে হবে।
সোমবার বগুড়ায় জামায়াতের রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহরের কলোনী শাহওয়ালী উল্লাহ মিলনায়তনে আয়োজিত সম্মেলনে দুই পর্বে সভাপতিত্বে করেন বগুড়া শহর আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আবিদুর রহমান সোহেল ও জেলা আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হক সরকার। শহর সেক্রেটারী অধ্যাপক আসম আব্দুল মালেকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামী বগুড়া অঞ্চলের টীম সদস্য মাওলানা আব্দুর রহিম ও নজরুল ইসলাম।
রফিকুল ইসলাম খান বলেন, শেখ হাসিনা দীর্ঘ দু:শাসনে গোটা দেশ ধ্বংস হয়ে গেছে। একদিকে জামায়াতে ইসলামীর প্রথম সারির নেতাদের মিথ্যা, সাজানো মামলায় হত্যা করেছে। হাজার হাজার নেতাকর্মিকে মিথ্যা, কাল্পনিক মামলা দিয়ে কারারুদ্ধ করে জামায়াতে ইসলামীর অগ্রযাত্রা থামানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু আল্লাহর পরিকল্পনা ছিল ভিন্ন। তিনি ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জালিম সরকারের পতন ঘটিয়েছেন। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন হলেও এখনো তাদের প্রেতাত্মা রয়ে গেছে। এরাই নানা পরিচয়ে দেশে বিশৃংখলা সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত। এমনকি সরকারের অনেক উপদেষ্টাও সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন না। ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত অন্তর্বর্তী সরকারকে কোন অবস্থাতেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবেনা। দেশবাসী শেখ হাসিনাকে যেভাবে বিদায় করেছে, ঠিক একই ভাবে ষড়যন্ত্রকারীদেরও রুখে দিবে। সরকারের কোন উপদেষ্টা ব্যক্তিগত এজেন্ডা বাস্তবায়নের অপচেষ্টা করলে তাকেও বিদায় নিতে হবে বলে তিনি হুশিয়ারি উচ্চারন করেন। তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িতদের বিচার অবশ্যই করতে হবে। যারা সরাসরি গণহত্যার সাথে জড়িত এবং যারা ফ্যাসিবাদের দোসর তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রশাসনে যেসব দক্ষ, যোগ্য কর্মকর্তা ফ্যাসিবাদের শাসনামলে বঞ্চিত হয়েছেন তাদেরকে যথাযথ জায়গায় বসাতে হবে। ফ্যাসিবাদের দোসরদের কোনভাবেই পূনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া হবেনা।
জামায়াতের রুকনদের উদ্দেশ্যে রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ৫ আগষ্টের পর দেশে দাওয়াতী কাজের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা কাজে লাগিয়ে পাড়া মহল্লায় ইসলামের সুমহান দাওয়াত পৌঁছানোর মাধ্যমে সংগঠনকে মজবুত করতে হবে।
প্রধান অতিথি পরে মহিলা জামায়াতের রুকনদের সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনে নতুন শেসনের জন্য শহর ও জেলা আমির নির্বাচনে রুকনদের ভোটগ্রহন করা হয়।
বগুড়ায় জামায়াতের রুকন সংখ্যা ৩ হাজার ৯৭৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ হাজার ৯১০ জন এবং মহিলা ২ হাজার ৬৯ জন।