প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪, ৮:২১ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ৮, ২০২৪, ১:০৩ এ.এম
আদমদীঘিতে শিক্ষার্থীদের দিয়ে আন্দোলনে উৎসাহিত করছেন প্রধান শিক্ষক
[caption id="attachment_7345" align="alignnone" width="618"] আদমদীঘিতে শিক্ষার্থীদের দিয়ে আন্দোলনে উৎসাহিত করছেন প্রধান শিক্ষক[/caption]
বগুড়া সংবাদ : বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার সুন্দর মাহমুদ ইসলামীয়া একাডেমীর প্রধান শিক্ষক তহমিনা বেগমকে দুই দফায় কারন দর্শানোর নোটিশ করা হলেও জমি উদ্ধার করতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে আন্দোলন করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব শিক্ষার্থীরা গতকাল সোমবার দুপুর ১ টায় সান্তাহার রেলগেট এলাকায় মানববন্ধন এবং পরে রেললাইনে গিয়ে শিক্ষার্থীরা দ্রুতযান এক্সপ্রেস আন্ত:নগর ট্রেন অবরোধ করেন।
জানা যায়, উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের নতুন বাজার এলাকায় সুন্দর মাহমুদ ইসলামীয়া একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল ফটকের পশ্চিম পাশের জায়গা স্কুলের দাবী করা হয় । কিন্তু ইতিপূর্বে ওই জায়গা নিয়ে মামলার পর আদালতের রায় মূলে জনৈক আকবর আলী ভোগদখল করে আসছিলেন। তিনি গত ১১ সেপ্টেম্বর ওই জায়গায় থাকা একটি আম গাছ কাটেন। এরপর প্রধান শিক্ষক তহমিনা বেগম ওই জায়গা বিদ্যালয়ের দাবী করে থানা এবং ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা আফরোজ বিষয়টি সমাধানের জন্য কমিটির সদস্য, শিক্ষক ও স্থানিয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে জরুরী মিটিং করেন। সেই মিটিংয়ে উল্লেখিত জায়গা মাপজোখের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক সেই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করতে উৎসাহিত করেন। এরপর ক্লাসে না গিয়ে শিক্ষার্থীরা র্যালী, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেন। মূলত একারনেই প্রধান শিক্ষক তহমিনা বেগমকে পরপর দুই দফায় কারন দর্শানো নোটিশ করা হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক নোটিশের কোনো জবাব না দিয়েই সোমবার দুপুরে ফের মানববন্ধন ও ট্রেন অবরোধ করতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করেন। ট্রেন অবরোধের খবর পেয়ে রেল পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ বিষয়ে আকবর আলী বলেন, প্রধান শিক্ষক তহমিনার মা জাহানারা বেগমের কাছে থেকে ১৯৯৬ সালে ওই জায়গাটি কিনে নেই। সেই থেকে জায়গাটি আমার দখলেই আছে। তহমিনা প্রধান শিক্ষক হওয়ার পর ২০১৪ সালে জায়গাটি স্কুলের দাবী করে সন্ত্রাসী কায়দায় দখলের চেষ্টা করেন। বাঁধা দিতে গেলে তারা আমার স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও আমাকে মারপিট করে আহত করেন। তহমিনা বেগম নতুন করে জায়গা দখলে নিতে শিক্ষার্থীদের দিয়ে আন্দোলন করাচ্ছেন। সেই সাথে গত কয়েকদিন ধরে আমার বাড়িতে ঢিল ছুড়ে মারা এবং অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তহমিনা বেগম দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে আর আমাকে ভিকটিম বানানো হচ্ছে।
ক্যাম্পের সেনাবাহিনী ক্যাপটেন সাকলাইন সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে কথা হয়েছে এবং বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হবে ।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা আফরোজ বলেন, প্রথমে স্থানিয় ভাবে জায়গাটির সমস্যা নিরসনের চেষ্টা করা হয়েছিলো। সমাধান না হওয়ায় পরে প্রধান শিক্ষককে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ক্লাস বন্ধ রেখে আন্দোলন করতে উৎসাহিত করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। যা একজন শিক্ষক হিসেবে মোটেও ঠিক করেননি।
https://bograsangbad.com || বগুড়া সংবাদ