[caption id="attachment_6550" align="alignnone" width="526"] বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ককে খুন: ঘাতক সন্দেহে আরেক জনকে হত্যা[/caption]
বগুড়া সংবাদ : বগুড়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মিজানুর রহমান মিজানকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সেইসাথে ঘাতক সন্দেহে লেদো নামে আরো একজন গণপিটুনিতে নিহত হয়। গতকাল সোমবার রাতে সদরের গোকুল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ দুটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
এর আগে রাত অনুমান ৮টায় একদল দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলযোগে এসে মিজানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরিভাবে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মিজান গোকুল উত্তরপাড়ার আফসার আলীর ছেলে।
এদিকে ঘাতক সন্দেহে রাতেই গোকুল এলাকায় স্থানীয় লোকজন লেদোকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত লেদোকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু ভর্তির আগেই সেখানে উপস্থিত বিক্ষুব্ধ লোকজন লেদোকে ফের বেদম মারপিট করে। এরপর রাত আনুমানিক ১১টায় লেদো মারা যায় বলে মেডিকেল ফাঁড়ির এসআই রুবেল হোসেন নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মিজান রাত ৮টার দিকে ওই ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনে ৬-৭ জনের সাথে বসে গল্প করছিলেন, এসময় বিদ্যুৎ ছিল না। তখন কয়েকজন দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলযোগে এসে মিজান ও তার বন্ধুদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা মিজানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে। স্থানীয়রা আরও জানায়, কয়েক মাস আগেও তাকে হত্যার জন্য তার ওপর হামলা করা হয়েছিল। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তার মৃত্যুর খবর শুনে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ছুটে যান বগুড়া জেলা বিএনপি’র সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি মোশারফ হোসেন ও স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও তার মৃত্যুর খবরে শজিমেক হাসপাতাল চত্ত্বরে সহস্রাধিক মানুষ ভিড় করেন। এদিকে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদও হাসপাতালে যান। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, হত্যাকান্ডের তদন্তের বিষয়টি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা কাজ শুরু করেছেন। হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। গত রাত সাড়ে ১১টায় এ খবর লেখা পর্যন্ত সেনাবাহিনী হাসপাতালে অবস্থান করছেন।