[caption id="attachment_6501" align="alignnone" width="750"] \[/caption]
বগুড়া সংবাদ: বিগত ৬ সেপ্টেম্বর তারিখে কাহালু উপজেলার যোগীর ভবন গ্রামের মহাদেব বিগ্রহ মন্দিরের ভুয়া সেবায়েত দাবী কারী বাদল চন্দ্র এর সাংবাদিক সম্মেলনের প্রতিবাদে রবিবার সকালে বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন একই এলাকার শ্রী রতন চন্দ্র গোস্বামী। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিগত ইং ০৬/০৯/২০২৪ তারিখে মিথ্যা ভাবে সেবায়েত দাবীকারী বাদল চন্দ্র সাংবাদিক সম্মেলনে যে সকল বিষয় উল্লেখ করিয়াছেন তাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রকৃত পক্ষে কাহালু উপজেলার পাইকাড় ইউনিয়নের যোগীর ভবন এলাকার প্রাচীন মন্দিরের শ্রী শ্রী অনাদী লিঙ্গ বিগ্রহ মন্দির ০৬/০১/১৯২০ সালে ১২১ নং দলিল মোতাবেক উক্ত মন্দিরের ২৭.৩৪ একর সম্পত্তির সেবায়েত হিসাবে বলকাইনাথ গোস্বামীকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তৎপর বলকাইনাথ গোস্বামী বয়ঃবৃদ্ধ হইলে তাহার শীর্ষ বাদলাই নাথ গোম্বামীকে উক্ত সেবায়েতের দায়িত্ব অর্পন করেন। বাদলাই নাথ গোস্বামী উক্ত মন্দিরের সেবায়েত হিসাবে সম্পত্তি রক্ষনাবেক্ষন করা কালীন শারীরিক ভাবে অতিশয় বৃদ্ধ হইলে শ্রী অজিত নাথ গোম্বামী ও শ্রী প্রফুল্ল চন্দ্র গোস্বামীকে ২৫/০৬/৬৩ তারিখে রেজি:কৃত ৭৬নং ডিক্লারেশন দলিল মূলে সেবায়েত হিসেবে দায়িত্ব অর্পন করা হয়। তৎপর অজিত নাথ গোম্বামী ও শ্রী প্রফুল্ল চন্দ্র গোস্বামী সেবায়েত হিসেবে দায়িত্ব পালন করিয়া আসিতে থাকাবস্থায় শ্রী অজিত নাথ গোস্বামী পরলোক গমন করিলে শ্রী প্রফুল্ল চন্দ্র গোস্বামী একাই সেবায়েত হিসাবে দায়িত্ব পালন করিয়া থাকে। শ্রী প্রফুল্ল চন্দ্র গোস্বামী সেবায়েত হিসাবে দায়িত্ব পালন করিয়া আসিতে থাকাকালে বিগত ইং ০৫/০৮/৯৭ তারিখে জেলা বগুড়ার নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে উপস্থিত হইয়া ২২০১ নং এফিডেভিট মূলে শ্রী সনাতন চন্দ্রকে সেবায়েত হিসাবে ক্ষমতা ও দায়িত্ব অর্পন করে। তৎপর শ্রী সনাতন চন্দ্র সেবায়েত হিসাবে দায়িত্ব ও ক্ষমতা প্রাপ্ত হইয়া উক্ত সম্পত্তি রক্ষনাবেক্ষন করিয়া আসিতে থাকাবস্থায় শ্রী প্রফুল্ল চন্দ্র স্থানীয় গোয়েন্দ্র শ্রেনীর লোকের চক্রান্তে শ্রী সনাতন চন্দ্রকে সেবায়েতের দায়িত্ব থেকে অপসারন করার জন্য জেলা বগুড়ার কাহালু থানার সহকারী জজ আদালতে ৫৬/০৬ অন্য নং একটি মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় বিজ্ঞ আদালত শ্রী সনাতন চন্দ্রকে সেবায়েত হিসেবে ডিক্রি প্রদান করে। তৎপর শ্রী প্রফুল্ল উক্ত ৫৬/০৬ অন্য নং মামলায় ডিক্রীর বিরুদ্ধে জেলা বগুড়ার স্পেশাল জজ আদালতে ১৭/২০১০ অন্য আপীল মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় বিজ্ঞ স্পেশাল জজ আদালত পুনরায় শ্রী সনাতন চন্দ্রকে সেবায়েত হিসাবে নিম্ন আদালতে রায় ও ডিক্রি বহাল রাখিয়া আদেশ প্রদান করেন। তৎপর শ্রী প্রফুল্ল চন্দ্র স্পেশাল জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ ২৩২২/২০১৩ সিভিল রিভিশন মামলা দায়ের করিলে মহামান্য হাইকোর্ট বিগত ইং ১৭/০৭/২০১৪ তারিখে পুনরায় বিজ্ঞ স্পেশাল জজ আদালতের রায় বহাল রাখে। সুতরাং নিম্ন আদালত হইতে উচ্চ আদালত পর্যন্ত সমস্ত রায় ও আদেশে শ্রী সনাতনকে সেবায়েত হিসাবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হইয়া বিগত ইং ১২/০৬/২০২২ তারিখে জেলা বগুড়ার নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে উপস্থিত হইয়া ৪৯৭১নং এফিডেভিট মুলে শ্রী রতন চন্দ্র গোস্বামীকে সেবায়েত হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। তৎপর হইতে শ্রী রতন চন্দ্র মন্দিরের পুজা পার্বন ও অতিথি সেবা সহ মামলা মোকদ্দমা পরিচালনা করার ক্ষমতা প্রাপ্ত হইয়া উক্ত মন্দিরের ২৭.৩৪ একর সম্পত্তি স্থানীয় প্রভাবশালী লোকেরা তাহাদের নিজেদের নামে ৪৩টি আর.এস খতিয়ান মিথ্যা ভাবে প্রস্তুত হইয়া লয়। তৎপ্রেক্ষিতে শ্রী রতন চন্দ্র উক্ত মিথ্যা ভাবে প্রস্তুতকৃত আর.এস খতিয়ান সংশোধনের জন্য আদালতে মোট ৪৫টি মামলা দায়ের করে। ইহার মধ্য হইতে ৩১২/২২ অন্য মোকদ্দমার শ্রী রতন চন্দ্র ডিক্রি প্রাপ্ত হয়। শ্রী রতন চন্দ্র সেবায়েত হিসেবে সমুদয় সম্পত্তি রক্ষনাবেক্ষন করিয়া আসিতেছে। প্রকৃত পক্ষে শ্রী রতন চন্দ্রই উক্ত মন্দিরের সেবায়েত। কিন্তু শ্রী বাদল চন্দ্র স্থানীয় ইউ.পি চেয়ারম্যান মিঠু চৌধুরী আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা ও তাহার সহযোগী সন্ত্রাসী ভূমিদস্যু মোঃ তোফা মন্ডল, জাহাঙ্গীর, রেজা, নবীন, আনোয়ার এর সহযোগীতায় নিজেকে মিথ্যা সেবায়েত হিসাবে দাবি করিয়া সাংবাদিক সম্মেলন করিয়াছে। উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি উল্লেখ করিয়াছেন যে, কাহালু উপজেলায় নির্বাহী অফিসার রেজুলেশন এর মাধ্যমে নিজেকে সেবায়েত হিসাবে দাবি করিয়াছেন। প্রকৃত পক্ষে কাহালু উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর নিকট বর্তমান সেবায়েত শ্রী রতন চন্দ্র শান্তিপূর্ণ ভাবে মন্দিরের সম্পত্তি রক্ষনাবেক্ষন করার জন্য অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নোটিশের মাধ্যমে শ্রী বাদল চন্দ্রকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রাদিসহ হাজির হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। তৎপর বাদল চন্দ্র ও বর্তমান সেবায়েত শ্রী রতন চন্দ্র সমুদয় কাগজ পত্রাদি সহ কাহালু উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উপস্থিত হইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সমস্ত কাগজ পত্রাদি পর্যালোচনা করিয়া মৌখিক ভাবে শ্রী রতন চন্দ্রকে মন্দিরের সম্পত্তি রক্ষনাবেক্ষনের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন এবং শ্রী বাদল চন্দ্রকে মিথ্যা ও হয়রানি বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দেন। তৎপর শ্রী রতন চন্দ্র মন্দিরের ২৭.৩৪ একর সম্পত্তির মধ্য হইতে ধানী জমি এলাকায় ২৭ জন বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষের নিকট বর্গা দেয়। কিন্তু শ্রী বাদল চন্দ্র স্থানীয় ইউ.পি চেয়ারম্যান জনাব মিঠু চৌধুরীর সহযোগীতায় উক্ত বর্গা চাষীদের বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করিতেছে এবং উক্ত মন্দিরের দূর্গা পুজা করার জন্য সেবায়েত শ্রী রতন চন্দ্র গোস্বামী প্রতিমা তৈরি করিয়াছে কিন্তু মিথ্যা ভাবে সেবায়েত দাবীকারী শ্রী বাদল চন্দ্র উক্ত মন্দিরের পুজা সহ অন্যান্য কার্যাদি করিতেবাধা প্রদান করিতেছে এবং উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে মোঃ ইসরাইলকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ভাবে জড়িত করিয়াছে। এমতাবস্থায় মন্দিরের সম্পত্তি সুষ্ঠ রক্ষনাবেক্ষন ও পরিচালনা সহ মন্দিরের যাবতীয় কার্যাদি সঠিকভাবে দেখাশুনা করার জন্য এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান ভূমিদস্যু মিঠু চৌধুরীর ও তার সহযোগীদের হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছি “