[caption id="attachment_6497" align="alignnone" width="750"] শিবগঞ্জে উপজেলা বিএনপির সভাপতির ভয়ে দলের ত্যাগী নেতাকর্মিরা আতংকে : বিএনপি নেতা মতিন[/caption]
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মতিয়ার রহমান মতিন অভিযোগ করেছেন, শিবগঞ্জ উপজেলায় বিএনপির সভাপতি মীর শাহে আলমের অত্যাচার ও নির্যাতনে বিএনপির দীর্ঘদিনের ত্যাগী ও পরীক্ষিত অনেক নেতা-কর্মী চরম আতংকের মধ্যে রয়েছে। স্থানীয় বিএনপিতে তার অনুসারী না হলেই সেসব নেতা-কর্মীদের মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলার আসামী করা হচ্ছে। এরপর তাদের বিভিন্নভাবে কর্মীরা (তালিকা সংযুক্ত) এলাকা ছাড়া হতে বাধ্য হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, মীর শাহে আলম তার অনুসারীদের দিয়ে করানো হয়রানিমূলক মামলা গুলোতে এলাকার ব্যবসায়ী ও ধনী ব্যক্তিদের টার্গেট করে হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় আসামী করা হয়েছে এবং আসামী করার পর পরই মামলা থেকে নাম কর্তনের কথা বলে লাখ লাখ টাকা দাবি করা হচ্ছে। রবিবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে মতিন আরও অভিযোগ করেন, মীর শাহে আলম অতি চতুর ভাবে আমাদের প্রিয় নেতা দেশ নায়ক তারেক রহমানের সঙ্গে অতীতে তার তোলা বিভিন্ন ছবি, ভিডিও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ব্যক্তিদের দেখিয়ে এবং সে যা বলে দেশ নায়ক তারেক রহমান সেটাই শোনে, এমন প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে নিজেকে দেশের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসাবে জাহির করছে। এরপর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি পরিবর্তন ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিয়োগ, সাব রেজিস্ট্রার অফিসে কল্যাল সমিতির নামে চাঁদা আদায় সহ এলাকার বিভিন্ন অপকর্ম শুরু করেছে। সে নিজেকে নারায়নগঞ্জের শামীম উসমান বা লক্ষ্মীপুরের আবু তাহেরের আদলে নিজেকে হাজির করছেন। আপনারা হয়তো ইতি মধ্যে জেনে থাকবেন। প্রশাসন এবং মানুষের মধ্যে তাকে প্রভাবিত করতে গিয়ে "তারেক রহমান শাহে আলমের কথায় চলে" এমন ন্যাক্কারজনক মিথ্যা অপপ্রচার চালানোর ভিডিও ভাইরাল হলে তারই সবচেয়ে কাছের দোসর তাজুল ইসলামকে সম্প্রতি দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া গত ৩১ আগস্ট তারিখে এসব ঘটনার প্রতিবাদে ও সুষ্ঠু বিচার চেয়ে এলাকায় মানব বন্ধন পর্যন্ত হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিএনপির দূর্গ হিসেবে পরিচিত বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় মীর শাহে আলমের কারণে সাধারণ মানুষ রাগে ক্ষোভে বিএনপি বিমুখ হয়ে যাচ্ছে। অনেকেই ঘোষনা দিচ্ছে মীর শাহে আলমের এমন আচরণ অব্যাহত থাকলে বিএনপি ভোটের মাঠে অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হবে