[caption id="attachment_6452" align="alignnone" width="768"] ২০ বছরেও সান্তাহারের বোরহানের চাকুরি স্থায়ী হয়নি[/caption]
বগুড়া সংবাদ: সান্তাহার ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের নৈশপ্রহরী বোরহান উদ্দিন দীর্ঘ ২০ বছর যাবত চাকুরি করলেও তার চাকুরি স্থায়ী হয়নি। ফলে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি। শনিবার বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি ২০০৫ সাল হইতে সান্তাহার ২০ শয্যা হাসপাতালে নৈশ্য প্রহরী হিসাবে কর্মরত আছি। নির্মাণ কাজের বিভিন্ন কারণে বিলম্ব হওয়ায় হাসপাতালটি সরকারি ভাবে বুঝিয়া নেয় ২০২০ সালে। কিন্তু গত ২০০৫ সাল হইতে ২০২০ সাল পর্যন্ত মোট ১৫ বছর নৈশ প্রহরী চাকুরির স্থায়ী করবেন বলিয়া বারংবার সকল কর্মকর্তা দিনের পর দিন আশ্বাস প্রদান করেন। তাদের কথা মত এই হাসপাতালের নির্মাণ কাজ থেকে শুরু করে পরবর্তীতে দামি মালামাল পাহারা দিয়ে আসছি। কিন্তু তারা আমাকে বেতনভূক্ত বা স্থায়ী করেন না। পরবর্তীতে ২০২০ সালে এসে হাসপাতালটি নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হবার পরে সরকার যখন হাসপাতালের দায়িত্ব বুঝিয়া নিলেন তখন সকল দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা আশ্বাস দিয়ে ছিলেন এখন থেকে সরকার যেহেতু হাসপাতালটির দায়িত্ব বুঝিয়া নিলেন এবং আমাকে বলেছিলেন এখন থেকে আপনার পারিশ্রমিক দেওয়া হবে। কিন্তু দেখা গেল পূর্বের মতই ৪ বছর অতিবাহিত হবার পরেও তারা বিভিন্নভাবে ভালাবাহানা করে যা।ে আমি যেহেতু ২০ টি বছর এই হাসপাতাল পাহারায় আমার জীবন যৌবন সবকিছু ব্যায় করেছি, এমতাবস্থায় আমার এই বয়সে অন্য কোন কর্ম করিবার উপায় নাই। সুতরাং আমি তাদের আশ্বাস মত আমার নানান রকম ঝুঁকি, অভাব, অনটন সমস্ত কিছু সহ্য করিয়া সরকারের কোটি কোটি টাকার সম্পদ ও মালামাল পাহারা দিয়ে আসছি। গত ১২ই আগস্ট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমার কাছ থেকে চিঠির মাধ্যমে হাসপাতালের চাবি বুঝিয়া চায়। আমি ১৪ই আগস্ট আঃ মান্নান ফার্মাসিস্ট এর হাতে চাবি বুঝিয়া দেই এবং আমার ব্যবহারকৃত যাবতীয় জিনিসপত্র সরিয়া নেই। বাকি আংশিক জিনিসপত্র তালাবদ্ধ অবস্থায় রাখিয়া আসি। এমতাবস্থায় সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে আমি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমার গত ১৯ বছরের পারিশ্রমিক না হলেও অন্তত সরকারের ৫ বছরের তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ি মাসিক ১০ হাজার টাকা করে মোট ৬ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক হিসাবে দিয়ে আমার ও আমার পরিবারের জীবন রক্ষা করুন।”