[caption id="attachment_6392" align="alignnone" width="300"] বগুড়ার ৩৬৪টির মধ্যে ১০৫টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েনি[/caption]
বগুড়া সংবাদ: ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লাইসেন্সভুক্ত আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দেওয়ার কথা থাকলেও বগুড়ার ১০৫ জন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। অস্ত্র জমাদানে ব্যর্থ হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র উদ্ধারসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংস্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বগুড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেসি থেকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য প্রদত্ত সকল আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স (কর্মরত সামরিক-অসামরিক কর্মকর্তা ব্যতীত) স্থগিত করে গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী লাইসেন্সভুক্ত আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ গত ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লাইসেন্স গ্রহীতার স্থায়ী ঠিকানার থানায় অথবা বর্তমান বসবাসের ঠিকানার নিকটস্থ থানায় জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অস্ত্র জমা না দিলে তা অবৈধ অস্ত্র হিসেবে গণ্য করে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের হবে। এ অবস্থায় বগুড়ায় ওই সময়ের মধ্যে ১০৫ জন অস্ত্রধারী অস্ত্র জমা দেননি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ৬ জানুয়ারি ২০০৯ থেকে এ বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ৩৬৪টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। বগুড়ার ৩৬৪টির মধ্যে ১০৫টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েনি। এর মধ্যে সদর উপজেলা ৫১টি, শাজাহানপুরে একটি, সারিয়াকান্দিতে সাতটি, কাহালুতে ১০টি, শিবগঞ্জের ১২টি, নন্দীগ্রামে একটি, দুপচাচিয়ায় দু’টি, আদমদীঘিতে ছয়টি, সোনাতলায় সাতটি ও ধুনট উপজেলায় আটটি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েনি।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাধারণ শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার নাহিয়ান মুনসীফ জানান, যারা অস্ত্র জমাদানে ব্যর্থ হয়েছেন তাদের কাছে ফোন করে জানতে চাওয়া হচ্ছে। কেন জমা দিতে পারেননি, যারা জমা দেননি তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে অস্ত্র উদ্ধার করা হবে।