[caption id="attachment_6156" align="alignnone" width="618"] বগুড়া সদরের মাটিডালী স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল[/caption]
বগুড়া সংবাদ : বগুড়া সদরের মাটিডালী স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক প্রধান শিক্ষককে পুনর্বহাল, নিয়োগ বানিজ্য ও বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, বগুড়া সদরের মাটিডালী স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক লাল মিয়ার সাথে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং অসম্মান জনক আচরণ করেন ও জোরপুর্বক ইস্তেফা পত্রে স্বাক্ষর করে নেন বিদ্যায়ের পরিচালনা পর্ষদ। পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকের দায়িত্ব দেন অন্য একজন শিক্ষককে। এতে করে শিক্ষার্থীদের মাঝে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীদের মনের চাপাক্ষোভ ক্রমে ক্রমে আন্দোলনে রুপ নেয়। মঙ্গলবার ( ২৭ আগষ্ট) সকালে প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থীরা একজোট হয়ে সাবেক প্রধান শিক্ষক লাল মিয়াকে স্বপদে পুনর্বহাল ও ৩ জন সহকারী শিক্ষককে পাঠদানে অযোগ্য আখ্যায়িত করে ও বিভিন্ন সময় ছাত্রীদের সাথে আপত্তিকর আচরন করার কারণে তাদের পদত্যাগ, প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বানিজ্য, অতিরিক্ত সেশন ও রেজিষ্ট্রশন ফি, শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন সহ বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারক লিপি পেশ করে।
নির্বাহী অফিসার ফিরোজা পারভীন স্মারক লিপি গ্রহন করেন এবং আগামী ৭ দিনের ভিতর তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারক লিপি প্রদানের সময় স্কুল এন্ড কলেজের সকল শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি বলেন, শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন উদ্যেশ্য প্রনোদিত, বর্তমান দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে পুঁজি করে, কোন সম্প্রদায় হীনস্বার্থ হাসিলের জন্য শিক্ষার্থীদেরকে উস্কে দিয়েছে। সাবেক প্রধান শিক্ষক লাল মিয়া নিজ হস্তে লেখা কাগজে স্বাক্ষর করে, স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। তার পদত্যাগের পর আমরা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যহত রেখেছি।
সাবেক প্রধান শিক্ষক লাল মিয়া বলেন, আমি সারা জীবন এই স্কুলকে নিজের প্রতিষ্ঠান মনে করেছি। স্কুলের যতো উন্নয়ন, সবগুলো আমার হাতেই হয়েছে। যে কারণে স্কুলের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আমাকে ভালোভাসে। কিন্ত হঠাৎ করে গত ৫ ফেব্রুয়ারী আমি কলেজে গেলে তৎকালীন সভাপতি সাহেব আমার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ তোলেন। এবং আমাকে পদত্যাগ করতে বলেন তখন আমি পদত্যাগ করে চলে আসি।
এ ঘটনায় শিক্ষকমন্ডলী, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, শিক্ষার্থী ও এলাকাজুড়ে অস্থিরতা বিরাজ করছে।