[caption id="attachment_6140" align="alignnone" width="618"] জুলুম নির্যাতনকারীরা বিচারের ভয়ে পালাতে গিয়ে এখন খালে বিলে জঙ্গলে ধরা পড়ছে-শাহাবুদ্দিন[/caption]
বগুড়া সংবাদ : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য দৈনিক সাতমাথার সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন বলেছেন আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল করেছে আমাদের বিচারের জন্য, এখন তাদেরকেই এ আদালতে উঠতে হবে। এক স্বৈরাচারের পতন হয়েছে, নতুন রূপে অন্য স্বৈরাচার যাতে ক্ষমতা দখল করতে না পারে সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি সোমবার বগুড়ার সারিয়াকান্দি ফাজিল মাদরাসা অডিটরিয়ামে উপজেল জামায়াতের রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তবে এ কথা বলেন।
উপজেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর মাও: ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন বগুড়া অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক আব্দুর রহীম, অধ্যাপক আব্দুল বাসেদ, কেয়ার টেকার রেজাউল করিম,মাও: আবু তালেব,মাও: তোফাজ্জল হোসেন,মাও: আব্দুল মজিদ,অধ্যাপক জহুরুল ইসলাম, মাও: রেজাউল করিম, সাদিকুল ইসাম,মাও: আবু তালেব প্রমুখ।
তিনি আরো বলেন আওয়ামী লীগ হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তারা গুম, খুন, লুটপাট, মেয়েদের ইজ্জত লুণ্ঠনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা দেশের মানুষের ওপর, ভিন্নমতের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ওপর এতটাই নির্যাতন করেছে যে, বিচারের ভয়ে তারা পালাতে গিয়ে এখন খালে বিলে ধরা পড়ছে। কথিত সোনা মানিক ভারতে পালাতে গিয়ে সিলেটে সীমান্তে ধরা পড়েছে। তার কাছে নাকি ৭০ লাখ টাকাও পাওয়া গেছে। তারা এখন এভাবেই ধরা পড়বে, ইনশাআল্লাহ।
অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন আরো বলেন ছাত্র আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছেন তারা জাতীয় সম্পদ, জাতীয় বীর। তাদের আত্মত্যাগের কারণে দেশ একটি জুলুমবাজ সরকারের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। শেখ হাসিনা বলতেন, এটা তাদের দেশ, অন্যরা ভাড়াটিয়া। এখন তারা নিজেরাই দেশে থাকতে পারছেন না। র্যাবকে তারা রক্ষীবাহিনীতে রূপান্তরিত করেছিল, আদালতকে কুক্ষিগত করেছিল। তাদের কাছে দেশের জনগণ নিরাপদ ছিল না।
সংখ্যা গুরু বা সংখ্যা লঘু বলতে কিছুই নেই, আমরা সবাই মানুষ। মানুষ হিসেবে আমাদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বিগত দিনগুলোতে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে জামায়াতে ইসলামী। প্রতিশোধ নিতে হলে আমাদেরই নেওয়ার কথা, কিন্তু আমরা প্রতিশোধ নেইনি, নিবও না। পটপরিবর্তনের পর আমরা মন্দির পাহারা দিয়েছি, বারবার হিন্দুধর্মের নেতাদের সাথে বৈঠক করেছি।