বগুড়া সংবাদ : অদ্যই ২২ আগষ্ট’২৪ইং বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়া প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটির জরুরী সভা আহ্বায়ক ওয়াসিকুর রহমান বেচানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে দেশের বেশ কয়েকটি জেলার লাখ লাখ মানুষ বন্যা কবলিত হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়। সেই সাথে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বাঁধের গেইট খুলে দিয়ে বাংলাদেশে অকাল বন্যা সৃষ্টির জন্য প্রতিবেশী ভারতের হঠকারী সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। সভায়
অভিমত ব্যক্ত করা হয় যে, বিগত এক যুগ ধরে ভূয়া নির্বাচনের মাধ্যমে বগুড়া প্রেসক্লাবের সাবেক অবৈধ কমিটির চিহ্নিত সদস্যরা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এখনো ফ্যাসিস্ট আওয়ামী বাকশালী স্বৈরাচারের অনুচর হিসেবে কাজ করছে। ঐ অবৈধ কমিটির সদস্যরা প্রেসক্লাবে বসে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করার প্ররোচনা দিয়েছে পুলিশকে। বগুড়ার সাতমাথায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনকে উস্কানি দিয়ে জমায়েত করা এবং তাদের
জমায়েতে উপস্থিত থেকে সদ্য গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বগুড়া প্রেসক্লাবের যেসব সদস্য ছাত্রদের ওপর গুলি বর্ষনে প্ররোচিত করেছিল এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ভিডিও, ফটো তুলে প্রশাসনের কাছে সরবরাহ করেছিল তাদের তালিকা তৈরি করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলন। প্রেসক্লাবের বর্তমান কমিটির কাছে সেই তালিকা জমা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছে ছাত্ররা। একই সাথে বৈষম্যবিরোধী
গণমাধ্যম আন্দোলন বগুড়া প্রেসক্লাবের সাবেক কমিটির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে বেশকিছু গুরুতর অভিযোগ এনে আহ্বায়ক কমিটির নিকট স্মারকলিপি দিয়েছে। যে সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সারাদেশে শান্তি-শৃংখলা রক্ষায় সর্বমহলের সহযোগিতা চেয়েছেন, সেই সময় বগুড়া প্রেসক্লাবের ফ্যাসিস্ট আওয়ামী বাকশালী ঘাতকচক্রের সহযোগিরা পরিস্থিতি
অস্থিতিশীল করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সম্প্রতি এই চক্রটি বগুড়া প্রেসক্লাবে
নাশকতামূলক কর্মকান্ড চালানোরও ষড়যন্ত্র করছে। প্রেসক্লাব বন্ধ থাকা অবস্থায় তারা রাতের
আঁধারে দল বেঁধে প্রেসক্লাবের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। এসবের পাশাপাশি প্রেসক্লাব
বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বগুড়া প্রেসক্লাবের সাবেক
সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন, সাবেক সাধারন সম্পাদক আমজাদ হোসেন মিন্টু, প্রদীপ
ভট্রাচার্য্য শঙ্কর, এ এইচ এম আখতারুজ্জামান, জে এম রউফ, আরিফ রেহমান, জি এম সজল,
নাজমুল হুদা নাসিম, শফিউল আযম কমল, রাকিব জুয়েল, আবুল কালাম আজাদ ঠান্ডা ও সাজ্জাদ
হোসেন পল্লবকে বগুড়া প্রেসক্লাবের সদস্য পদ থেকে বহিস্কারের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহিত
হয়। সেই সাথে আওয়ামী বাকশালী ফ্যাসিস্টদের দোসর এইসব চিহ্নিত সাংবাদিক নামধারী
অনুচরদের ব্যাপারে প্রশাসনকেও সজাগ থাকার আহ্বান জানানো হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন
আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব সবুর শাহ লোটাস, যুগ্ম-আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ ও
রাহাত রিটু, সদস্য রেজাউল হাসান রানু, আব্দুর রহীম বগরা, মতিউল ইসলাম সাদী, মীর্জা
সেলিম রেজা, গনেশ দাস, এস এম আবু সাঈদ, এফ শাহজাহান, সৈয়দ ফজলে রাব্বী ডলার,
মমিনুর রশিদ শাইন, জহুরুল ইসলাম, মোস্তফা মোঘল, সাইফুল ইসলাম, সাহেদুজ্জামান সিরাজ
বিজয় ও আব্দুর রহীম।