বগুড়া সংবাদ : বগুড়ায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ এখনও থামেনি। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ প্রথমে সাতমাথা কেন্দ্রীক হলেও তা শহরজুড়েই ছড়িয়ে পড়েছে। এসব সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৪০জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, বগুড়া শহরে আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার পর থেকে চলা এই সংঘর্ষ সাতমাথা থেকে ছড়িয়ে পড়েছে আশেপাশের রাস্তাগুলোতেও। এরপর সাতমাথায় অবস্থান নিতে আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন দিক থেকে সেখানে জড়ো হতে থাকে। তবে পুলিশ সাতমাথায় কাউকে অবস্থান নিতে দিচ্ছে না। সবগুলো রাস্তাতেই পুলিশ আন্দোলনকারীদের হটিয়ে দিতে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ছুড়ছে। আন্দোলনকারীরা প্রতিটি সড়কে অবস্থান নিয়ে পুলিশের মুখোমুখি হয়।
পরে এক সময় তারা সাতমাথায় অবস্থান নেয়। পরে পুলিশ ব্যাপক টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে তাদের সরিয়ে আবারও সাতমাথা খালি করে দেয়। আন্দোলনকারীরা সাতমাথায় অবস্থান নিতে প্রতিটি সড়কে অবস্থান করে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করছে। ঘটছে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মতো ঘটনা। টিয়ারশেলে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন শহরের অলিগলি। থমথমে পরিস্থিতিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে শহরজুড়ে।
এরপর সংঘর্ষ দুপুর গড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে শহরের জলেশ্বরীতলা, ১নং রেলঘুমটি পেড়িয়ে চকযাদু রোড, বড়গোলা, পার্ক রোড, শেরপুর রোড, স্টেশন রোডসহ সব জায়গাতেই। দুপুর ১২টার পর থেকে দুই ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখন থেমে থেমে চলছে গুলির শব্দ। টিয়ারশেল আর রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের হটিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। আন্দোলনকারীও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করছে পুলিশকে লক্ষ্য করে। লাটিসোঠা হাতে নিয়ে ধাওয়া করছে পুলিশকে। পুলিশও তাদের সরিয়ে দিতে ছুঁড়ছে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট।
দফায় দফায় সংঘর্ষে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো শহরেই। শহরের অলিগলিতে অবস্থান নিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টা করছে তারা। পুলিশের সাথে সংঘর্ষে অহত হয়েছেন ৪০ জনেরও বেশি। আহতদের সবাই বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে। এছাড়াও আরও অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আটক হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
এদিকে সংঘর্ষে শহর প্রায় ফাঁকা। সকালের দিকে দোকানপাট ও মার্কেট খুললেও সংঘর্ষ বাড়ায় একে একে বন্ধ হয়ে যায় সব দোকানপাট, মার্কেট ও বিপণীবিতনগুলো। শহরের চলছে কোন যানবাহন।